ষ্টাফ রিপোর্টার :: ছোটপর্দার এক ঝাঁক তারকা শিল্পীদের নিয়ে মকবুল হোসেন পাইক নির্মাণ করলেন টেলিছবি ‘ভালোবাসার আয়কর’। আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তার আশা আখাঙ্খায় ভরা এ টেলিছবিটি।
এর গল্পে দেখা যাবে, সংসার জীবনে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ মোবারক হোসেন কিছুটা নির্বিকার প্রকৃতির মানুষ। তিনি মাতৃভূমির প্রতি রয়েছে তার অকুণ্ঠ ভালোবাসা। দেশ নিয়ে তার গর্বের শেষ নেই। চাকরি করেন আয়কর বিভাগে।
মোবারক তার প্রিয় আয়কর বিভাগকে ভীষণ ভালোবাসেন। আয়কর বিভাগকে তার কাছে একটি বৃহৎ একান্নবর্তী পরিবারের মতো মনে হয়। প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী, করদাতা, এ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সবাই কত আপন। এই ডিপার্টমেন্ট এর প্রতিটি ইট-কাঠ-পাথরের সাথে মোবারকের ঘনিষ্টতা আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ।
মোবারক হোসেন ভাবেন স্বাভাবিক নিয়মে তিনি একদিন অবসরে চলে যাবেন। তিনি থাকবেন না কিন্তু ডিপার্টমেন্ট থাকবে।
জীবনের স্বর্নালী দিনগুলো এখানে কেটে গেছে। শুধু তাই নয় মৃত্যুর পর পৃথিবী পৃষ্ঠে যতদিন তার নাম ঘুরে ফিরে আসবে ততদিন সবাই তাকে ইনকাম টেক্স ডিপার্টমেন্ট এর লোক বলে জানবে। মোবারক সিদ্ধান- নেয় তার জীবনের সকল আবেগ অনুভূতি আর ভালবাসায় প্রিয় ইনকাম টেক্স ডিপার্টমেন্ট নিয়ে একটি সিনেমা বানাবে। কিন’ সিনেমা বানাতে গিয়ে শুরু হয় নানান জটিলতা। এভাবে এগিয়ে যায় টেলিছবির গল্প।
এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, দীপা খন্দকার, নওশীন, মাজনুন মিজান, হাসান ফেরদৌস জুয়েল, দিলু খান, আফরোজা হোসেন, লিটন অধিকারীসহ একদল মঞ্চকর্মী।
পরিচালক মকবুল হোসেন পাইক জানান, টেলিছবিতে গল্পের প্রয়োজনে আয়কর বিষয়ক ছড়া গান, আয়কর বিষয়ক কবি গান এবং আধুনিক গান সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে চিরকালের প্রেমের কবি জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন ও কিশোর কবি সুকান্তের হে মহাজীবন কবিতার চিত্রায়ন করা হয়েছে।
‘ভালোবাসার আয়কর’ প্রসঙ্গে পরিচালক মকবুল হোসেন পাইক বলেন, একটি ব্যতিক্রমী গল্প নিয়ে এ কাজটি করা। সবাই সবার জায়গা থেকে খুব ভালো অভিনয় করেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি পুরো টিম একটি গুনগত মানের কাজ উপহার দিতে। আশা করি টেলিছবিটি সবার ভালো লাগবে।