ভাঙ্গন আতঙ্কে কয়রায় নদী তীরবর্তী মানুষ

মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা প্রতিনিধি :: অব্যাহত নদীভাঙ্গন আতঙ্কে ভুগছে খুলনার কয়রা উপজেলার নদী তীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ। বছরের পর বছর নদী তীরবর্তী মানুষদের এক প্রকার নির্ঘুম রাত কাটে নদ-নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে। সুন্দরবন পরিবেষ্টিত ও বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ এবং ১৪ নং দু’টি পোল্ডারের আওয়াতাধীনে পরিবেষ্টনে কয়রা উপজেলা।

নিয়তি মনে করেই নদীভাঙ্গন আতঙ্কে বছরের পর বছর পার হচ্ছে তাদের। ভাঙ্গন হাত থেকে যেন স্থায়ী মুক্তির কোনো পথ দেখছে না তাঁরা। ২টি পোল্ডারে সাতটি ইউনিয়নে ৪০/৪২ টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সহকারী অধ্যাপক সোনাতন রায়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৩-১৪/২ পোল্ডারে কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়নস্থ ঘাটা খালী নামক স্থানে নদীগর্ভে প্রায়ই বিলীন হয়ে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তা।

তবে আশার কথা বর্তমান সংসদ সদস্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জরুরী বৈঠকও করেছেন তিনি। খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু জানিয়েছেন, অনতিবিলম্বে নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। এবং কর্মসৃজন শ্রমিক দিয়ে কোনো মতে লোনা পানির প্লাবনের হাত থেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঐ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমুন শাহদাত। ইতোমধ্যে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম শফি ও ভাঙ্গনাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন বলে জানাগেছে।

অপরদিকে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউল আবেদীন জানান, ইতোমধ্যে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বাঁধ বাধার জন্য প্লাস্টিকের বস্তাসহ বাঁশের সরমজাম সহ বাজেট শেষ করে ঠিকাদার নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here