মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ঐতিহাসিক নিদর্শন বরার্ট মোরেল সাহেবের স্মৃতিস্তম্ভ প্রমত্তা পানগুছি নদীর ভাঙ্গনের মুখে বিলীন হবার পথে। স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাণীয় জলের পুকুরটিও এখন ভাঙ্গনের মুখোমুখি।
দেড়শ’ বছরের আগে অত্যাচারী ইংরেজ শাসক রবার্ট মোরেল সাহেবের স্মৃতি রক্ষার্থে এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে নির্মিত হয় এ স্মৃতিস্তম্ভ। ইংরেজ শাসকগোষ্ঠীর নির্মমতার ঐতিহাসিক স্বাক্ষ্য বহন করা এ স্মৃতিস্তম্ভ কালের আবর্তে এখন করালগ্রাসী পানগুছি নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হতে চলছে।
স্মৃতিস্তম্ভের কারুকার্য খচিত লোহার বেষ্টনীসহ সৌন্দযের্র বিভিন্ন নিদর্শণ ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে। সংষ্কারের অভাবে খসে খসে পড়ছে স্থাপনা। ভেঙ্গে পড়ছে কারুকাজ। নামের ফলকটির অস্তিত্বও এখন আর নেই।
স্মৃতি স্তম্ভটির মাত্র ২০ ফুট দূরে বহমান খরস্রোতা পানগুছি নদীর আচরেপরা উত্তাল ঢেউয়ে অব্যাহত রয়েছে পাড়ের ভাঙন। এভাবে ভাঙ্গনের খেলা চলতে থাকলে ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভটি অচিরেই নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে । মোরেলের স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষার্থে যে পাইলিং রয়েছে তা অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত। এ স্তম্ভের ১০ ফুট কাছে রয়েছে পাণীয় জলের পুকুর। এ পুকরুটিও ভাঙ্গনের কবলে। এ পুকুর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার শত শত লোক পানি পান করে।
পুকুরটি প্রমত্তা পানগুছির ভাঙ্গনের কবলে যত তাড়াতাড়ি বিলীন হবে তত তাড়াতাড়ি মোরেলের স্তম্ভটিও অস্তিত্ব হাড়াবে। আর পুকুর ভাঙনের সাথে সাথে বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বের অবকাঠামো ভাঙনের কবলে পড়বে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল মালেক হাওলাদার বলেন, মোরেল সাহেবের স্মৃতি স্তম্ভ রক্ষা করতে পারলে বিদ্যালয়ের পুকুরটিসহ অবকাঠামো ভাঙ্গলের কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব। অন্যথায় ত্রিমুখী সমস্যার সম্মুখীন হবে স্মতিস্তম্ভ, বিদ্যালয়ের পুকুর ও অবকাঠামো।
অনতিবিলম্বে পানগুছি নদীর ভাঙন থেকে ইতিহাসের সাক্ষী রবার্ট মোরেলের স্মৃতিস্তম্ভটিসহ পুকুর ও বিদ্যালয় রক্ষা করতে পাইলিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।