মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবি প্রতিনিধি ::
সাড়ে সাত একরের ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছোট এই ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর সামনে রয়েছে সরু সরু রাস্তা। সেই রাস্তায় আবার ফেলে রাখা হয়েছে অচল বাস। আর এতে শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় ঘটছে বিঘ্ন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে বেশ কয়েকটি অচল বাস দীর্ঘদিন জায়গা দখল করে পড়ে আছে। যা ভবনটির সামনের রাস্তার অর্ধেকের বেশি দখল করে আছে। ভবনটির সামনে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করার জন্য জায়গাটি সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিয়মিত খেলাধুলা করা শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে অচল বাসগুলো থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে ভালোভাবে খেলতে পারছে না। এছাড়া বাসটি রাস্তার অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকার ফলে যাতায়াতেও অসুবিধার সৃষ্টি করছে। এভাবে গাড়িগুলো ফেলে রাখায় ছোট ক্যাম্পাসের অনেক জায়গা দখল করে রেখেছে সেগুলো। এতে শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সংকট সত্ত্বেও দীর্ঘদীন এই বাসগুলো অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে একদিকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, অন্যদিকে ওইসব বাসের ইঞ্জিনসহ অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার পথে।
পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, পরিবহন পুলে সর্বমোট ৫৬টা গাড়ি আছে। এগুলোর একটিও পুরোপুরি নষ্ট বা ফেলা দেয়ার মতো না। বাসের ইঞ্জিনজনিত সমস্যার কারণে বাসগুলো রুটে চালানো যাচ্ছেনা। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে জায়গা না থাকার কারণে বাসগুলো বাধ্য হয়েই সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে রাখা হয়েছে। এসব বাসের প্রতিটির ক্রয় মূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। এগুলোর মধ্যে ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে কেনা। বাকি একটি জনতা ব্যাংক থেকে উপহার পাওয়া।
ক্ষোভ প্রকাশ করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে মাঠের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু যেটুকুতে আমরা খেলাধুলা করার সুযোগ পাই সেখানেও একটি বাস রেখে দিয়েছে যেটা কাম্য নয়।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন রানা বলেন, অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করছি একটি বাস আমাদের ডিপার্টমেন্টের সামনে রাখা আছে। কিন্তু প্রশাসনের যেন এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বাসটি রাস্তার উপরে রাখার জন্য আমাদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে৷ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হয়।
পরিবহন পুলের প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, ওখানে রাখা বাসগুলো মেরামতের জন্য আমরা টেকনিকাল কমিটির কাছে সুপারিশ করেছি এবং ট্রেজারার স্যারের সাথেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। খুব দ্রুত গতিতে এর সমাধান হবো।
তিনি আরও বলেন, সকল অচল বাস সচল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আশা করি এই বছরের মধ্যেই সকল বাস বা গাড়ি সচল করা হবে। আর সেই প্রেক্ষিতে আমাদের আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে গাড়িগুলো এমন কোথাও রাখার ব্যবস্থা করা যাতে কারো অসুবিধা না হয়।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here