স্টাফ রিপোর্টার :: ঢাকাই চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সালমান শাহ। আসল নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারেই বাংলা চলচ্চিত্রে স্থায়ী জায়গা করে নেন সালমান শাহ। তার অনবদ্য অভিনয় ও ফ্যাশন স্টাইল মুগ্ধ করতো ছোট-বড়, তরুণ-বৃদ্ধ সকলকেই। অগণিত ভক্তদের হৃদয়ে আজও অমর এই ‘স্বপ্নের নায়ক’। কিন্তু অকালপ্রয়াত এই নায়কের মৃত্যু রহস্যের আজও কোনো সমাধান হয়নি।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় নবাগত নায়ক সালমান শাহ এর। নবাগত নায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এদেশের দর্শকদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে সাড়া জাগানো মোট ২৭ টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি এবং সবকটিই ছিল ব্যবসাসফল।
সালমান সবচেয়ে বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন নায়িকা শাবনূরের সঙ্গে। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- অন্তরে অন্তরে, স্নেহ, দেনমোহর, সুজন সখি, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বিচার হবে, তোমাকে চাই, স্বপ্নের পৃথিবী, জীবন সংসার, চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়াসী, স্বপ্নের নায়ক, আনন্দ অশ্রু, সত্যের মৃত্যু নেই।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যদিও সালমান শাহর পরিবার শুরু থেকেই বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে আসছে। স্ত্রী সামিরার পরকীয়ার জন্যই সালমান শাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরীর।