কলকাতা প্রতিনিধি,
ছোট বড় প্রত্যেকের মাথায় শোভা পাচ্ছে সান্তাক্লজের সেই চেনা পরিচিত লাল টুপি। দেখে বোঝার উপায় নেই বড়দিন আসতে এখনও দুই দিন বাকি।
ইতিমধ্যেই বড়দিনের সাজে সেজে উঠেছে শহর কলকাতা। যীশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে কলকাতার সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, জোড়া গির্জা, আর্মেনিয়াম চার্চ সহ অন্যান্য চার্চ ও গির্জা সেজে উঠেছে আলোকমালায়। সঙ্গে সাজানো থাকছে মডেলের মাধ্যমে যীশুর জন্মের কাহিনী।
বড়দিনের সাজ শহরের সব শপিং মলগুলোতেও। কাঁধে উপহারের ঝোলা নিয়ে দোকানে দোকানে হজির লাল আলকেল্লার বুড়ো সান্তাক্লজ। কারও হাতে রুপোলি ঘন্টা, তো কারও হাতে রঙিন মোড়কে মোড়া উপহার।
আর কচি-কাঁচা দেখলেই হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন হাত মেলানোর জন্য। ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বল, তারা, কাগজের মালা-র পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন দোকানিরাও। নিউ মার্কেট এলাকাতে গেলেই বড়দিনের আমেজটা আরও বেশি করে উপভোগ করা যাচ্ছে।
পুরনো নিউ মার্কেটে এখন সাজ সাজ রব। বাঙালি, অবাঙালি জাতি ধর্মনির্বিশেষে সবাই ভিড় জমিয়েছেন। এই মার্কেটের মাঝখানের অংশ এখন শুধুই লাল, নীল, সবুজ চিকচিকে স্টেইনসিল, সোনালি-রুপোলি ছোট-বড় বল, তারা, চাঁদ। অফিস ফেরত মানুষ, স্কুল-কলেজ পড়-য়ারা বড়দিনের আগে সবাই ব্যস- জিংগল বেল, ক্রিসমাস ট্রি কিনতে।
বড়দিনের মজা জমে না কেক ছাড়া। তাই ফ্লুরিস, নাহুম, ক্যাথলিন, মনজিনিস-এর মতো বড় কোম্পানি গুলোর পাশাপাশি পাড়ার দোকানেও এখন কেকের ধূমধাড়াক্কা। বছরের এই সময়টাই সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ফ্রুট কেক আর পাম কেকের।
এবছর শুকনো ফলের দাম বেশ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে কেকেরও। তবু খামতি নেই ক্রেতার। সত্যিই তো বছরের এই সময়টা কেক না খেলে চলে!