ডেস্ক রিপোর্ট : : জার্মানিতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে করোনার সংক্রমণ। তবে ব্রিটেন থেকে আসা করোনার নতুন ধরন নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। তাই আগামী ৭ই মার্চ পর্যন্ত দেয়া লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।

গেলো বছর থেকে জার্মানি জুড়ে চলছে লকডাউন। তবে ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা নতুন ধরনের করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায় বলে শঙ্কা বাড়ছে জনমনে।

সাড়ে আট কোটি মানুষের দেশটিতে ইতোমধ্যে করোনায় মারা গেছেন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ২৪ লাখের বেশি। এ অবস্থায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে কিনা জানা যাবে আগামী ১৩ মার্চ। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তটা হবে মার্কেল সরকারের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। যদিও এতোদিনের লকডাউনে অস্থিরতার ছাপ বেশ লক্ষণীয় নাগরিকদের মাঝে।

জার্মানের এক নাগরিক বলেন, আমি আশাবাদী ধীরে ধীরে সবই খুলে দেবে সরকার। দিতেই হবে। এই যে দেখুন না ফুটবলটা পর্যন্ত একলা খেলতে হচ্ছে। তবে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ালেও সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সংস্কৃতিকেন্দ্র, মঞ্চ নাটকসহ আরো অন্যান্য যে বিষয়গুলো জরুরি তা খুলে দেয়া উচিত সরকারের।

এদিকে দেশের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে পুরোদমে চলছে প্রয়োগ। ২৭শে ডিসেম্বরের পর থেকেই টিকার ১ম ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ও ২য় ডোজ নিয়েছেন ২২ লাখেরও বেশি মানুষ। যদিও ভ্যাকসিন সংকটের কারণে অস্বস্তিতে আছেন অনেকেই।

জার্মানের স্থানীয় এক নারী জানান, করোনার টিকা দেয়া নিয়ে জার্মানির ব্যবস্থাপনায় আমি হতাশ, অথচ যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশেই আমার বয়সের অনেকেই টিকা পেয়েছেন, কিন্তু এখনো আমি এ বিষয়ে কোনো চিঠিই পাইনি।

জার্মানের স্থানীয় এক পুরুষ বলেন, সামনে আরো অনেক করোনার টিকা আসবে, আমি আশাবাদী। খুব শিগগিরই মহামারি দূর হবে।

তবে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পাহন জানান, করোনার টিকা নিয়ে জটিলতা কমাতে আগামী এপ্রিল থেকেই যেকোনো চিকিৎসকের কাছে কোভিডের টিকা গ্রহণ করা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here