ডেস্ক নিউজ :: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে এক আততায়ীর হামলায় এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ওই হামলাকারী।
এ ছাড়া তার গাড়িচাপায় আহত হয়েছেন ৪০ জন। বুধবার হাউস অব কমন্সের অধিবেশন চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ওই আততায়ী ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের ওপর দিয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে আসার সময় কয়েকজন পথচারীকে চাপা দেন। পরে তার গাড়িটি হাউস অব কমন্সের সীমানাঘেঁষা রেলিংয়ে আঘাত হানে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে বেশ কয়েকজন আহত লোককে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। হামলার পরপর হাউস অব কমন্সের অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে। পার্লামেন্ট সদস্যদের নিজ নিজ কার্যালয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে লন্ডন পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিরাপদে আছেন। তবে হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী কোথায় ছিলেন, তা জানানো হয়নি।
হাউস অব কমন্সের নেতা ডেভিড লিডিংটন জানিয়েছেন, যে হামলাকারী এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন, পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন।
কয়েকজন আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, তারা তিন অথবা চারটি গুলির শব্দ পেয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক টম পিক টুইটারে লিখেছেন, ‘বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ, চিৎকার, গোলমাল। এরপরই গুলির আওয়াজ। চারদিকে সশস্ত্র পুলিশ।’
সেন্ট থমাস হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনেক লোক আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
কলিন অ্যান্ডারসন নামে ওই হাসপাতালের আরেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি ৩০ বছরের এক পুলিশ কর্মকর্তার চিকিৎসা করেছেন, যে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এ ছাড়া এক নারীসহ চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্রিজজুড়ে লোকজন পড়ে আছে। এদের কয়েকজনের আঘাত গুরুতর, কয়েকজনের আঘাত সামান্য।’
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতু ও পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে হামলাকারীর নাম খালিদ মাসুদ। বৃহস্পতিবার লন্ডন পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রী থেরেসা মে পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, হামলাকারী ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। কয়েক বছর আগে ওই হামলাকারীর সঙ্গে চরমন্থার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত করেছিল গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভ।