মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ::
বৃহত্তর খুলনা-যশোর ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাইকগাছায় বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের পানি নিষ্কাশন খাল ও নালা খননের কাজ চলছে। দীর্ঘদিন খালটি খনন না করায় ভরাট হয়ে পড়ায় পানি নিষ্কাশনে ব্যাহত হচ্ছিল। অতি বৃষ্টিতে গ্রামের পানি খামারে পড়ে প্লাবিত হতো। এতে খামারের ফসল উৎপাদনে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছিল।
খামারের খাল দিয়ে গোপালপুর, পুরাইকাটী, বৃত্তিগোপালপুর, হিতামপুর, মেলেকপুরাইকাটীসহ ৫/৬টি গ্রামের বৃষ্টির সময়ের পানি নিষ্কাশন হয়। খামারের খাল খনন হওয়ায় এলাকার পানি নিষ্কাশনের দ্রুত সমাধান যেমন হবে তেমনি খামারের উৎপাদনে আর কোন প্রভাব পড়বে না বলে খামার কর্তৃপক্ষ ধারনা করছেন। বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের পানি নিষ্কাশন খালটি পলিপড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছিল। তাছাড়াও অতি বৃষ্টির সময় গ্রামের পানি খামারে প্রবেশ করায় প্লাবিত হয়ে খামারের ফসল নষ্ট হচ্ছিল। খামারের পরিচালক কৃষিবিদ মো. হারুনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খামারের খালটির খনন কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। যা শুধু বীজ উৎপাদন খামার না এলাকার পানি নিষ্কাশনের সু- ব্যবস্থা হবে।
জানা গেছে, ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খামারে ২০ হাজার ঘনমিটার খাল ও নালা খননের জন্য ১৬ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা বৃহত্তর খুলনা-যশোর ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে খাল খনন বাস্তবায়িত হচ্ছে। খাল ৩০ ফুট চাওড়া ও ১০ ফুট গভির করে খনন করা হচ্ছে। খালের দুই পাশের বাঁধের মাঝে মাঝে আউটলেট পাইপ বসানো হবে পানি নিষ্কাশনের জন্য। খামারের খাল খননের সার্বিক তদারকি করছেন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. হারুন।
তিনি জানান, খামারে যোগদানের পরে তিনি খাল খননের বিষয়টি নিয়ে খামারের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পরবর্তীতে খামারের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা খামারটি পরিদর্শন করে খাল খননের ব্যবস্থা করেন।