ডেস্ক রিপোর্ট :: আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বৈধ দোকানেই বিক্রি হচ্ছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি অভিযানে জব্দ অস্ত্র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য। এ চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও মানতে নারাজ আর্মস ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
বৈধ অস্ত্রের চালানেই দেশে ঢোকে অবৈধ অত্যাধুনিক আধা স্বয়ংক্রিয় বা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। আসে সীমান্ত দিয়েও। দোকানের তালিকায় উল্লেখ থাকে না সেগুলোর। দালালের মাধ্যমে হাতেগোনা চিহ্নিত ক্রেতারাই কিনে নেয়। ব্যবহার করে নানা অপরাধী কর্মকাণ্ডে।

এক অস্ত্র বিক্রেতা বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কিছু দোকানের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই গ্রাহক সংগ্রহ করে আমরা অস্ত্র বিক্রি করে থাকি। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রতি মাসে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে কাস্টমসও আমাদের হাতে রয়েছে। যার জন্য এই কাজগুলো আমাদের করতে সুবিধা হয়।

সম্প্রতি ইজরায়েলের তৈরি সামরিক উজি পিস্তলসহ একজনকে আটকের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিদ্যমান আইনের সুযোগ নিয়ে লাইসেন্সধারী অস্ত্র ব্যবসায়ীরা আমদানি করছে অবৈধ অস্ত্র। মূলত অপরাধীদের হাতেই চলে যাচ্ছে অত্যাধুনিক এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো। এ জন্য আইন পরিবর্তনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করার কথাও জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, তারা কি কি অস্ত্র আমদানি করছে সেটার জন্য একটি রেজিস্টার রয়েছে। তারপরও এ বিষয়ে যদি কোনও তথ্য পাই, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা তদন্ত করব।

তবে আর্মস ডিলার অ্যাসোসিয়েশন বলছে, বৈধ দোকানে অবৈধ অস্ত্র বিক্রি বা প্রদর্শনের সুযোগ নেই। বর্তমান আইনটি যুগোপযোগী করে সংশোধনের আহ্বান জানান তারা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here