দেলোয়ার জাহিদ ::

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এর একাডেমিক ও প্রশাসনিক উৎকর্ষতা  এবং উভয় ক্ষেত্রেই  যোগ্য একাডেমিক কর্মী প্রশাসক যা  ছাত্র-ছাত্রীদের সে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আকর্ষণ করে। গত ১লা  জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক উপসম্পাদকীয়তে এ বিষয়ে একটি তথ্য চিত্র উঠে এসেছে  “মানবসম্পদ উন্নয়নের সর্বপ্রথম ধাপ শিক্ষা। মানবসম্পদের দিক থেকে বিশ্বের অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশ অনেক বেশি এগিয়ে। কাজেই মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার গুরুত্বটাও এখানে বেশি দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড-এটি আমরা সবাই জানি; কিন্তু আমাদের মেরুদণ্ড সোজা রাখার দায়িত্ব যারা কাঁধে নিয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই সে দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন তো করছেনই না; বরং শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।”

সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের স্বনামধণ্য কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখকের কর্ম্ম অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা নিবন্ধ সমূহ দেশের জাতিয় দৈনিকগুলোতে উপসম্পাদকীয় হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। এ সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের দৃষ্টি ও  অনেক ইতিবাচক।  বলতে দ্বিধা নেই সরকার এরই মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে ও শুরু করেছে। তারপর ও অবস্থার তেমন কোন  পরিবর্তন আসছে না।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে রাষ্ট্রপতির  (চ্যান্সেলর) ভূমিকা এবং ভিসি, প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগ তাদের নির্বাচন পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা বিবেচনা করে যে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রতিনিধিত্ব, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণের নামে প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সম্পর্কে সমালোচনামূলক সংকেত প্রদান করে; ইস্যুটি নিয়ে আরও মনোযোগ দেয়া দরকার কারণ এ মূল্যবোধগুলি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মৌলিক ভিত্তি গঠন করে।  কানাডা , যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন পদ্ধতিগুলি অন্বেষণ করলে আমাদের বর্তমান ব্যবস্থার বিচ্যুতি গুলো সহজে ধরা পড়ে।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেয়া ও শিক্ষকতার মতো একটা পবিত্র ও মহান পেশা নিম্ন স্তরে কোথায় নেমে যাচ্ছে এবং কেন নেমে যাচ্ছে তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবার ও কাজ করার সময় এসে গেছে, বিলম্বে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।

উল্লেখযোগ্য সংখক  বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) ও প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার সহ গুরুত্বপূর্ণ  পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া ছাড়া ও এগুলোতে  সিদ্ধান্তহীনতা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রদত্ত তথ্য দেখায় যে ১০৪টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টিতে ভিসি পদ খালি রয়েছে, 80টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও প্রো-ভিসি নেই এবং ৪৯ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে।”(সূত্র-ডেইলি সান) সূত্রটি আরো জানায় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট-২০১০ -এর ২৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে যে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারের মতো ব্যক্তিদের স্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া বাধ্যতামূলক।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে চ্যান্সেলর অনুমোদন নেয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই  উল্লিখিত নিয়ম  অনুসরণ করা হচ্ছেনা।  এ প্রক্রিয়ার মধ্যেও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও হঠকারিতা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৩১ ধারায় ভাইস-চ্যান্সেলর, ৩২ ধারায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ৩৩ ধারায় ট্রেজারার নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি-বিধান উল্লেখ থাকলেও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা সংবিধি ও ৪৩ ধারা অনুয়ায়ী বেতন কাঠামো ও চাকুরী প্রবিধানমালা প্রণয়নের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। বাংলাদেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা সংবিধি ও ৪৩ ধারা অনুয়ায়ী বেতন কাঠামো ও চাকুরী প্রবিধানমালা প্রণয়নের দৃষ্টান্ত রয়েছে। এগুলো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সুপারিশক্রমে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর অনুমোদন এবং ইউজিসির সম্মতিক্রমে তা চুড়ান্তকরণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবল নামমাত্র এসকল নিয়ম ও শর্তাবলী অনুসরণ করে.  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর  কর্তৃক নিজস্ব সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো ও চাকুরী প্রবিধানমালা এখনো প্রণয়ন করা হয়নি এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই  বেশি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে কম যোগ্যতাসম্পন্ন বা নিজদের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগের সুযোগ লাভ করে থাকেন। কিছু সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজদের আঞ্চলিক বা পছন্দনীয় প্রার্থী নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে কম যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের প্যানেলভুক্ত করে চ্যান্সেলরের অনুমোদন লাভের উদ্দেশ্যে অধিক যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের নাম  বাদ দিয়ে তথা ৩ জনের প্যানেলে তাদের নাম না রেখে প্যানেল প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। এ ধরনের প্যানেল প্রস্তাব ইউজিসির প্রক্রিয়া পর্যায়ে কখনও ধরা পড়লে যারা প্রস্তাবিত পদে নিয়োগের কোন যোগ্যতা নেই তাদের নাম বাদ দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন প্যানেল প্রস্তাব ইউজিসিতে প্রেরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ জানায়। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বের আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে চাহিত সংখ্যক প্রার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন প্যানেল প্রস্তাব ইউজিসিতে প্রেরণ করে থাকে। কোন ক্ষেত্রে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে পুন: বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় অধিক যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীরা এ সকল পদে নিয়োগ লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।

গত এক যুগের অভিজ্ঞতার আলোকে  সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বাধ্যবাদকতা সৃষ্টি করা এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পাশাপাশি অনলাইন জব সাইটে ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাকে উৎসাহিত করা;  বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে কমযোগ্য নিজদের আঞ্চলিক বা পূর্ব সম্পর্কের প্রার্থী নিয়োগ প্রদান করার ক্ষেত্রে যেন যোগ্য প্রার্থীদের দরখাস্ত বাদ না দিতে পারে সে জন্য আবেদন পত্রের সাথে ১০০.০০ (একশত)/৫০.০০ (পঞ্চাশ) টাকা টোকেন পেঅর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট্/বিকাশ/রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে প্রেরণের বিষয়টি প্রবর্তন করা যেতে পারে। ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ৩ জনের প্যানেল প্রস্তাবের সাথে যোগ্য অন্যান্য প্রার্থীদের তথ্য সম্বলিত একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা (১/২পৃষ্টা) প্রেরণের বিষয়টিও প্রবর্তন করা যেতে পারে যেখানে পেঅর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট্/ বিকাশ/ রকেট ইত্যাদিতে টাকা প্রেরণ সম্পর্কিত তথ্যও থাকতে পারে। কোন ক্ষেত্রে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রেরণ করলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউজিসি হতে পুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নিদের্শনা দেয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে স্বীকৃতি নয় এমন ডিগ্রীধারী বা বিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা/প্রশাসনিক  কাজে অভিজ্ঞতা নেই এমন প্রার্থীরা যেন তদবীরের জোরে  এ সকল পদে নিয়োগ লাভ করতে না পারে সে বিষয়টি ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে ।

এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত বেতন-ভাতাদি আলোচনা সাপেক্ষে উল্লেখ করলেও এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি (যেমনঃ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, গাড়ী সুবিধা/যাতায়ত ভাতা, গ্র্যাচুয়েটি ইত্যাদি) সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্য হবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। এ ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের রেজুলেশন সম্বলিত ৩ জন প্রার্থীর যে প্যানেল প্রস্তাব প্রেরণ করা হয় সেখানে অবশ্যই উল্লিখিত পদের বেতন-ভাতাদি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি যেমনঃ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, গাড়ী সুবিধা/যাতায়ত ভাতা, গ্র্যাচুয়েটি ইত্যাদি) সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে হবে যাতে কেহ নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর প্রার্থীভেদে এ সকল প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার তারতম্য/বৈষম্য সৃষ্টি করার যেন কোন বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ না পায়। সরকারি ও বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক/অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য যে বেতন স্কেল রয়েছে এর নীচে কোনো বেতন প্রস্তাব করা যাবে না মর্মে সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধান অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যাললের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য পিতা হিসেবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এবং তাদের ছেলে/মেয়ে ভিসি/ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নজির রয়েছে আবার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে/মেয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এবং পিতা ভিসি ও পরিবারের অন্যরা সদস্যরা ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ও নজির রয়েছে। এর মাধ্যমে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন উপায়ে নিয়ম বর্হিভুতভাবে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। এ ধরনের বিভিন্ন উপায়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা নানা কৌশলে  স্বার্থ সিদ্ধি করে যাচ্ছেন যা শিক্ষার ম্যান ও উন্নয়নকে ব্যাহত করছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা করার  ক্ষেত্রে সার্বজনিন একটি নীতিমালা অনুসরণ করার বিধান চালু করা যেতে পারে। তবে অধিক বয়সী প্রার্থীদের ৩ জন প্যানেল প্রার্থীর বিস্তারিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমনঃ ইসিজি/২ডি ইকো/কালাল ডপলার, এক্সরে, আলট্রাসোনোগ্রাফি, দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত সনদ সিভিল সার্জেন/সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক থেকে দাখিল করা ও বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। প্রার্থীদের বয়সসীমা নির্ধারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সর্বশেষ তারিখে সংশ্লিষ্ট পদের অভিজ্ঞতা ও বয়স গণনা করার বিধান ও অনুসরণ করা উচিৎ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি/প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের প্যানেল প্রস্তাব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) হতে প্রক্রিয়াকরণের পর্যায় শেষ হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (শাখা-১৭)-হতে সংশ্লিষ্ট নথি উর্ধ্বতন পর্যায়ে প্রক্রিয়াকরণের সময় সকল প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, উক্ত পদের জন্য বিশেষ যোগ্যতা (বিষয় সংশ্লিষ্টতা) ইত্যাদি বিষয়ক সঠিক তথ্য একই কলবরে যাতে সমরূপতার সাথে উপস্থাপন করা হয় সে বিষয়টি উর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে তদবির বা কোন পর্যায়ে অর্থের প্রভাবের কারণে কারো তথ্য অতি ভাল বা অতি মন্দ না হয় এবং যাতে কম যোগ্য প্রার্থী এর সুফল না পায়।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অচলাবস্থাগুলো  আশু দূর করার উদ্যোগ নেয়া ও  নিয়োগ নৈরাজ্য বন্ধ করা সহ আইন অমান্যতার প্রতিকারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা  প্রয়োজন।

[লেখক : সিনিয়র রিসার্চ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, প্রাবন্ধিক ও রেড ডিয়ার (আলবার্টা, কানাডা ) নিবাসী]

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here