ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ

 

সাইমুন মুবিন পল্লব :: পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন,  এখনো দেশের গ্রাম অঞ্চলের ১০ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে আছে৷ ভূ-গর্ভস্থ পানির অধিক ব্যবহার রোধ করে ভূ-উর্পস্থ পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা বা সংরক্ষণের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে।

সম্প্রতি ইউনাইটেড নিউজের সাথে আলাপ কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, টেকসই উন্নয়নের ৬ নম্বর লক্ষ হচ্ছে পায়-নিষ্কাশন নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। ২০০২-৩ সালের দিকে প্রায় ৪৩% মানুষ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করতো যা এখন নেই বললেই চলে। তবে সবাই যে মানসম্পন্ন টয়লেট ব্যবহার করছে তা নয়। এখন মানসম্পন্ন টয়লেট ব্যবহার নিশ্চিতের দিকে নজর দিতে হবে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করার অভিজ্ঞতায় তিনি আরো বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল ও হাওড় এলাকায় বন্যা বা প্রাকৃতিক দূযোর্গ দেখা দিলে পানি ও পায়-নিষ্কাশন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার ফলে পূণরায় নির্মান করা লাগে। আরেকটি বড় সমস্যা হলো লবণাক্ততা উপকূলীয় অঞ্চলে এ সমস্যা প্রকট। লবণাক্ত পানি শরীর এবং ফসলের জন্য ক্ষতিকর। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো পানি পরিশোধন বা ডিপ টিউবওয়েল ব্যবহার করা।

তিনি মনে করেন, আমাদের দেশের অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু জয়বায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা পিছিয়ে যাই আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। তবে আমাদের বিশ্বাস ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত হলে সকল সমস্যার সমাধান হবে।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here