আ হ ম ফয়সল, ম্যানিলা (ফিলিপাইন) থেকে : গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড-২০১৩ বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী এএইচএম নোমান বলেছেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ থাকবে এবং মোকাবেলাও করতে হবে। গণতন্ত্র যেমনি গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ভাবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে দারিদ্র্য মুক্ত হতে হবে। কেন না দারিদ্র্যই আমাদের এক নাম্বার শত্রু। এ জন্য সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে।
জনাব নোমান মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার অভিজাত হেটেল দি পিনিসুলায় সোমবার রাতে গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড-২০১৩ বিজয়ীদের সম্মানে আয়োজিত নৌশভোজে বক্তব্য প্রদান কালে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জনাব নোমান আরো বলেন, দরিদ্রদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মাকে কেন্দ্র করে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। মায়েদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা গেলেই সুখী-সমৃদ্ব দারিদ্র্য মুক্ত একটি রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এ জন্য দরিদ্র্য মায়েদের অধিকার ভিত্তিক পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশীপ-পিপিপিপির মাধ্যমে স্বপ্ন প্যাকেজ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
নৌশ ভোজের শুরুতে ফিলিপাইলে ঘূর্নিঝড়ে নিহতদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনালে চেয়ারম্যান ভ্যারি এস. গুসিসহ ২০১৩ সালে নির্বাচিত এওয়ার্ড বিজয়ী ১৭ জনও বক্তব্য রাখেন।
ঐ দিন সকালে এওয়ার্ড বিজয়ীরা রাষ্ট্রিয় ভাবে ম্যানিলা রিজাল পার্ক স্মৃতী স্তম্বে পুস্পস্তবক অপর্ণ করেন।
রিজাল পার্ক থেকে তারা ম্যানিলা শহর পরিদর্শন শেষে ঐতিয্যবাহী ইউনিভার্সিটি অব সানটা টোমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছালে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রেক্টর এফার হারমিনিও ভি অতিথিদির স্বাগত জানান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অতিথিদের যন্ত্রসংগীতে মাধ্যমে উষ্ন সংবর্ধনা জানান। রেক্টর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পটভূমি সকলকে অবহিত করেন। এ অনুষ্ঠান শেষে আলাবাং শহরে অবসি’ত ছিন্নমূল শিশুদের মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টোলয় ফাউন্ডেশ পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, দারিদ্র বিমোচন ও মানবহিতৈষী কাজে অবদান রাখার জন্য বেসরকারী সংস্থা ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান এ বছর বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই সম্মানজনক এওয়ার্ড অর্জন করেন।
২৭ নভেম্বর বুধবার ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিজয়ীদের মধ্যে এওয়ার্ড প্রদান করা হবে।