স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ২২ মার্চ, রোববার দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন’। পানির প্রাপ্যতার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের যোগসূত্রই আলোচিত হচ্ছে এ বছর। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ সভা এ দিনটিকে বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯৮ ভাগ মানুষের আওতায় কোনো না কোনোভাবে পানির উৎস রয়েছে। তবে সুপেয় পানি পাচ্ছে মাত্র ৫৬ শতাংশ। এখনও ১৩ ভাগ পানিতে  গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। এ ছাড়া পাইপলাইন, টিউবওয়েল এবং পুকুরের পানিতে কোলাই ব্যাকটেরিয়ার মতো ক্ষতিকর অণুজীবের অস্তিত্ব থাকার কথাও বলা হয় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে। নানারকম বর্জ্যের কারণেই মূলত পানি দূষিত হয়ে পড়ছে।

২০১৫ সালে দেশে প্রাণ হারানো নবজাতকের প্রায় ২০ শতাংশই পানিবাহিত জীবাণু সংক্রমণের কারণ বলে উঠে আসে ইউনিসেফের আরেক প্রতিবেদনে। এ ছাড়া গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অন হেলথ অ্যান্ড পলিউশন (জিএএইচপি) জানায়, ২০১৭ সালে দেশে শুধু পানিদূষণের কারণে মারা যায় ৩৩ হাজার ৫৮৩ জন।

সরকারের হিসাব মতে, দেশে বর্তমানে ১৩ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে না। তাদের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। ব্যয় হচ্ছে ৮৮৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২০২৫ সালে শেষ হবে প্রকল্প।

এ ছাড়া ৩৭ জেলা শহরে নিরাপদ পানি সরবরাহের আরেকটি প্রকল্প এখন শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পের পরিচালক নূর আহাম্মেদ জানান, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরাসহ উত্তরাঞ্চলের ৩৭টি জেলা শহরের মধ্যে ৩৪টিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত পানিকে নিরাপদ করতে শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে।

জানা গেছে, দেশে বর্তমানে নদনদীর দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। এখানে প্রচুর পানি প্রবাহিত হচ্ছে সারাক্ষণ। এ ছাড়া সারাদেশে রয়েছে অগণিত পুকুর। গভীর নলকূপের মাধ্যমেও উঠছে পানি। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও আছে নানা পর্যায়ে। তবে এসব উৎসের পানি নিরাপদ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বিস্তর গলদ।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here