স্টাফ রিপোর্টার :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ)’র ভিভিআইপি টারমাকে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্যক্রয়কৃত এয়ারক্রাফট ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনের পরে শেখ হাসিনা বিমানের অভ্যন্তরে পরিদর্শন করেন এবং বিমানের পাইলট ও অন্যান্য ক্রু’দের সঙ্গে কথা বলেন।

এ উপলক্ষে দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বহরে চতুর্থ বোইং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার যুক্ত হয়েছে। এটি জাতীয় পতাকাবাহী ‘বিমানের’ বহরে যুক্ত হওয়া ১৬তম বিমান।

বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বিমান কারখানা থেকে ওই দিনই বিকেলে সরাসরি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।

বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা জলকামান স্যাল্যুট জানিয়ে বিমানবন্দরে ড্রিমলাইনারটি গ্রহণ করেন।

এর আগে, গত বছরের আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে প্রথম ও দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘আকাশ বীনা’ ও ‘হংসবলাকা’ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। গত জুলাই মাসে তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ ঢাকায় অবতরণ করে।

বিমানে একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড্রিমলাইনারগুলোর নাম রাখেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করে।

চুক্তি অনুযায়ী বোয়িং ইতোমধ্যেই চারটি ৭৭৭-৩০০ইআর ও দু’টি ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি ড্রিমলাইনার বিমানকে হস্তান্তর করেছে।

২৭১ আসনের ‘রাজহংস’ বোয়িং ৭৮৭-৮ কে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানী সাশ্রয়ী বিমান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বিমানটি ঘন্টায় ৬৫০ মাইল বেগে একটানা ১৬ ঘন্টা উড়তে সক্ষম।

বিমানটি ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওয়াইফাই পরিষেবা দেবে। এর ফলে যাত্রীরা আকাশ থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের যে কোন স্থানে তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here