মামুনুর রশীদ নোমানী, বরিশাল প্রতিনিধি :: বরিশালের উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ১০১ জন বিধবা ও বয়স্ক ব্যাক্তির ভাতা বাবদ কয়েক লাখ টাকা আত্মসসাতের ঘটনায় অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে উজিরপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শ্যমল সেন গুপ্ত বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ মোল্লা, ইউপি সদস্য হরষিৎ মন্ডল ওরফে কদম মন্ডলসহ আরো ২ মেম্বর এবং কৃষি ব্যাংকের হাবিবপুর শাখা ম্যানেজার রমেশ চন্দ্রকে আসামী করে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
একই সাথে উজিরপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের সমাজ কর্মি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য বরিশাল দুদক কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো : আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য বরিশালের উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য হরশিৎ মন্ডল ওরফে কদম মন্ডলসহ কয়েকটি ওয়ার্ডের মেম্বর ইউনিয়নের ১০১ জন হত দরিদ্র বিধবা ও বয়স্কদের কার্ড নিয়ে হাবিবপুর কৃষি ব্যাংক ম্যানেজারের সহায়তায় ৩৬ শ টাকা করে উত্তোলন করেন।
পরে বিধবা ও বয়স্কদের ভাতা বাবদ ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা করে বিতরন করে বাকি ২৪শ থেকে ২৬ শ টাকা নিজেরা আত্মসাত করেন। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আজাদকে জানালে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মি ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে সমাজসেবা অফিসার শ্যামল সেন গুপ্ত অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যান। এসময় ভুক্তভোগীরা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যেদের বিচার দাবী করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিধবাদের ভাতা উত্তোলক করে আত্মসাতের বিষয়টি প্রমান পেয়ে তিনি সোমবার রাতে উজিরপুর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শ্যামল সেন গুপ্ত বলেন, শুধু ইউপি চেয়ারম্যার, মেম্বর ও ব্যাংক ম্যানেজারই নয়, তার অফিসের সমাজকর্মি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে উজিরপুর থানার ওসি মো : আনোযার হোসেন বলেন, সোমবার রাতে সমাজসেবা অফিসার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করার দ্বায়িত্ব দুদকের। তাই অভিযোগটি দুদকে প্রেরন করা হয়েছে।