ডেস্ক রিপোর্ট:: বিদ্যালয়ে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াতের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব উল্লেখ করে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ‘করোনা ও অসংক্রামক রোগ হ্রাসে বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ চাই’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে বক্তারা এ দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী মোট কার্বন নির্গমনের ২৫ শতাংশের কারণ যান্ত্রিক বাহন। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে একটি বড় সংখ্যক ট্রিপ হয়। এ ট্রিপগুলো যদি হেঁটে বা সাইকেলে হয়, তাহলে উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা ও জলবায়ু বিপর্যয়রোধে অবদান রাখা সম্ভব। বিদ্যালয়ে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর অক্টোবর মাসকে ‘অ্যাকটিভ অ্যান্ড সেফ রুট টু স্কুল’ মাস হিসেবে পালন করা হয়। বিদ্যালয়ে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াতের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।

তারা আরও বলেন, বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশের কারণ অসংক্রামক রোগ এবং শারীরিক কার্যক্রমের অভাবে এর ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। বিদ্যালয়ে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াত খুব সহজেই শারীরিক কার্যক্রমের অভাব পূরণ করতে পারে। সেই সঙ্গে বন্ধুদের সাথে সামাজিকীকরণ এবং আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানার সুযোগ বৃদ্ধি পায়, ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে যায়। শিক্ষার্থীকে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াতে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে হাঁটা ও সাইকেলে যাতায়াতের পরিবেশ উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।

শিক্ষার্থীকে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াতে উৎসাহিত করে বক্তারা বলেন, সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াতের অভ্যাস গড়ে তোলা হলে এ চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়াও বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি প্রতিরোধ সম্ভব হবে। উন্মুক্ত স্থানে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। ফলে হেঁটে যাতায়াতের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেছা, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেন, কবীরুল ইসলাম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here