শেরপুর : কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সময় ফুড়িয়ে আসছে। সময় শেষ হবে, যথা সময়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন দিবে।
আমরা নির্বাচনে যাব। নির্বাচনে জনগণ যে রায় দিবে। আমরা সে রায় মাথা পেতে মেনে নেব।
মন্ত্রী বুধবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা পাবলিক হল অডিটরিয়ামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে সামাজিক বনায়নের অংশীদারদের মাঝে অনুদানের চেক, হুইল চেয়ার, সেলাই মেশিন বিতরণকালে এসব কথা বলেন ।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা ইলেকশনের রাস্তায় হাঁটে না। তারা হরতালের নামে গাড়ীতে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত মানুষ পুড়ায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা বাচ্চাদের দিয়ে গাড়ি পুড়ায়, বাচ্চাদের হাতে বোমা তুলে দিচ্ছে ও মানুষ মারছে। তারা দেশের ভালো চায়, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।
একদিকে জামাত, আরেক দিকে হেফাজত, দুই দিকে দুই জল্লাদ নিয়া মাঝখানে আমাদের ধ্বংসের রানী বেগম খালেদা জিয়া।
কৃষিমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনি নিজে লেখাপড়া করেননি বলে হরতাল দিয়ে ছেলে মেয়েদের সর্বনাশ করবেন না। ৭১’এর খুনি জামায়াত ও কোরআন পুড়ানো হেফাজতে ইসলামীদের ছেড়ে আলোচনায় আসুন।
এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, এরপরও বলি, ইলেকশন হবে এবং ইলেকশনে জনগণ যে রায় দিবে আমরা সেটা মাথা পেতে মেনে নেব।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৪০ মেট্টিকটন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে আমরা দেশ পরিচালনা শুরু করলাম। পরবর্তীতে আমরা স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন করলাম। এরপর যারা এলো তারা ৩০ মেট্টিকটন খাদ্য ঘাটতি রেখে গেল।
এদিন মন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেয়া ৩টি সেলাই মেশিন, সমাজ সেবা মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেয়া ৩টি হুইল চেয়ার, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক ৭ জনের মাঝে ১৫ হাজার করে টাকা, সামাজিক বনায়নের ১৪৬ জন উপকারভোগীর মাঝে ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৮ টাকার চেক বিতরণ করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান লেবু, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মইন উদ্দিন খান প্রমুখ।
শাহরিয়ার মিল্টন/