ঢাকা: ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এমকে আনোয়ারসহ বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জরুহুল হক এ আদেশ দেন।

এসময় আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন- ব্যারিস্টার মাহবুবব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মো. মাসুদ আলম তালুকদারসহ দলীয় অনেক আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শুনানিতে পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেছিলেন, আসামিদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি আছে। অবরোধের কারণে তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি। তাছাড়া আইও আসামিদের জেলহাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দের জন্য ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করেন।

শুনানির শেষ দিকে আদালতের কক্ষ বরাদ্দের আদেশের কপিও বিচারককে দেখান।

অন্যদিকে, এতদিন সময় পাওয়ার পরও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ না করায় তদন্ত কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা বলেন, পুলিশ এই মামলার মাধ্যমে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। তারা তাদের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেয়ার জন্য প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতাদের জেলে আটকে রাখতে চাইছে।’ শুনানি শেষে তারা বিচারককে উন্মুক্ত আদালতে আদেশ দেয়ার দাবি জানান।

বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে এজলাস ছেড়ে উঠতে গেলে প্রচণ্ড ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। পেছন থেকে অনেকে অশোভন উক্তি করতে থাকেন। সিনিয়ন আইনজীবীরাও তাদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে বিচারক খাস কামরায় চলে যান।

এরপর বিকেলে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন বিচারক।

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর রাতে ১৮ দলের টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল আহ্বানের পর প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে আটক করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে। সে রাতেই পরে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে থেকে বের হওয়ার সময় আটক হন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শিল্পপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

পরদিন তাদের হরতালে নাশকতার অভিযোগে মতিঝিল থানায় দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে বর্ধিত রিমান্ড শুনানির জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। ধার্য দিনে তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু ১৭ নভেম্বর সেই রিমান্ড আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here