ষ্টাফ রিপোর্টার :: জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অধ্যাপক গোলাম আযমের জানাজা ঘিরে বায়তুল মোকাররমসহ গোটা রাজধানীতে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশের পাশপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার বিপুলসংখ্যক সদস্যকে শনিবার সকাল থেকে মাঠে রাখা হয়েছে।
জানাজার মূল কেন্দ্রস্থল বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ পুরো এলাকা ইতিমধ্যে ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র্যাব। বিভিন্ন উঁচু ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছে পুলিশের রুফ টপ পার্টি।
মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। এ ছাড়াও জলকামান, এপিসি, সাজোয়া যান, বুলেট প্রুফ গাড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিয়ে রাখা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জানাজাকে কেন্দ্র করে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনানোর চেষ্টা করলে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানো হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে যত প্রয়োজন সেখানে তত সংখ্যক সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে।
রাজধানীতে একাধিক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেছেন, ডিএমপি সদর দফতর থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য শুক্রবার সকালেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকেই তারা সতর্কাবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র বলেছে, জানাজার নামে কেউ অরাজকতা ও ধংসাত্মক কোনো কার্যক্রম যাতে না হয় সে জন্য আজ পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে। মোড়ে মোড়ে থাকছে দাঙ্গা পুলিশ।
যেকোনো ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় ডিএমপির ৩২টি স্পর্শকাতর পয়েন্টে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএমপি সদর দফতর সূত্র জানায়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বিপরীতে পল্টনে জামায়াতে ইসলামীর অফিসসহ আশপাশ এলাকা, শাহজাহানপুর মোড় থেকে শাহজাহানপুর রেলগেট, পুরানা পল্টন ও দৈনিক বাংলার মোড় এলাকা থাকছে পুরো নজরদারিতে।
গোলাম আযমের জানাজা শনিবার বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা পড়াবেন তার বড় ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমি।
শুক্রবার রাতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাবার জানাজা তিনি নিজেই পড়াবেন। জানাজা শেষে শনিবারই মগবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে জামায়াতের সাবেক এ আমিরকে দাফন করা হবে।
জানাজা ও দাফনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত গোলাম আযমের মরদেহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাশবাহী বিশেষ গাড়িতে মগবাজারের বাসায় থাকবে।
জামায়াতের সাবেক এই আমির বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) মারা যান।