ষ্টাফ রিপোর্টার :: টানা অষ্টম দিনের মতো দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীর মানুষ। আজ রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সড়কে কেবল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিআরটিসির বাস চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। এ ছাড়া প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, রিকশা, অ্যাম্বুলেন্স রাস্তায় দেখা গেছে। বাস না পেয়ে হাজারো মানুষ হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

দুই দিন ছুটির পর আজ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস খুলছে। ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোও কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছে আজ। ফলে সড়কে কর্মব্যস্ত মানুষের উপচেপড়া ভিড়।

রাজধানীর রোকেয়া সরণি, মিরপুর রোড, সাতমসজিদ রোড, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, প্রগতি সরণি, এলিফ্যান্ট রোড ঘুরে বেসরকারি মালিকানাধীন পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো বাস দেখা যায়নি।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন।

নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এরই মধ্যে ২০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় বাস চলাচল একেবারেই কমে যায়। এমনকি আন্তজেলা বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নয়টি দাবি করেছে। তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার উচিত বলে জানান তিনি।

এরই মধ্যে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা বলেছেন, নিরাপদ বোধ না করা পর্যন্ত তারা রাস্তায় বাস নামাবেন না। ফলে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here