বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে পুলিশের ভুড়িভোজ!খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নির্দেশে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভুড়িভোজে মগ্ন হয়ে পরেন পালং মডেল থানা পুলিশের একটি দল। বুধবার দুপুরে থানাধীন পালং ইউনিয়নের চাঁদসার গ্রামে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মিম আক্তার (১৪) এক বালিকার বিবাহের সংবাদ পেয়ে ইউএনও’র নির্দেশে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সম্মিলিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ টিম, প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষকদের একটি টিম, পালং মডেল থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের একটি দল বিয়ে বাড়িতে যায়। বিয়ে বাড়ির লোকজন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য প্রস্তাব করে। কেউ ভোজে রাজী না হলেও সেখানে একমাত্র পুলিশই ভুড়িভোজ করে নেয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে উপজেলার চাঁদসার গ্রামের ফন্নু সরদারের মেয়ে মিম আক্তার (১৫) এর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রথমে পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি বিয়ে বাড়িতে পাঠায়।

বিয়েবাড়ির লোকজন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটিকে কোন গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে ইউএনও পুলিশ ও সাংবাদিকদের অর্ন্তভূক্ত করেন। যখন বাল্যবিবাহ কমিটি ও সাংবাদিকরা মিমের বয়স সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই পালং মডেল থানা পুলিশের এস আই ফারুক তার টিম নিয়ে বিয়েবাড়ির একটি ঘরের বারান্দায় ভুড়িভোজে ব্যস্ত হয়ে পরেন।

এবিষয়ে এসআই ফারুক বলেন, বিয়ে বাড়িতে আমাদের দাওয়াত ছিল না। আমাদের থানার পাশে বাবু ভাইর ক্রোকারিজের দোকান। সেখানে আমরা আড্ডা করি। বাবু ভাই ওই বিয়ে বাড়িতে ছিল। সে আমাদের জোর করে খাইয়েছে। তাছাড়া আমরাতো বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছি। এখানে ছবি তোলা এবং ফ্লাশ করার কি আছে।

পালং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নাই। তাছাড়া যে বাড়িতে বিয়ে বন্ধ করলাম সেই বাড়িতে খাওয়া কোন সামাজিকতায় পড়ে ? বিষয়টি সকলেই বুঝে কিন্তু আমার অফিসার বুঝলনা।
তিনি আরও বলেন, এখন মেয়ের বাবাকে থানায় নিয়ে আশা হয়েছে। সে মুচলেকা দিবে। মেয়ের বিয়ের বয়স না হতে বিয়ে দিবে না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here