বানের পানিতে বন্দি তুমব্রু সীমান্তের শুন্যরেখায় ৪ হাজার রোহিংগাএনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শুন্যরেখায় অবস্থানরত প্রায় ৪হাজার বনিআদম (রোহিংগা)কয়দিনের প্রবলবর্ষণে সৃষ্ট বানের পানিতে ভাসছে। মানবতার চরমসীমার শিখড়ে এসব রোহিংগা বাস করছেন গতবছরের ২৪ আগষ্ট থেকে।

তারা অন্যান্য রোহিংগাদের মত মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়েছে বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলার তুমব্রু এলাকায় সীমান্তের শুন্যরেখায় মাথা গোঁজার ঠাই পেলেও প্রাকৃতির দুর্যোগ তথা বর্ষণজনিত কারণে বানের পানিতে বন্দি দশায় পড়েছেন এখন। সড়কপথ বানের পানিতে এখওন ডুবে থাকায় জেলা সদরের সাথে রাংগামাটি জেলার এবং রুমা উপজেলার মধ্যে ২দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে।

জানা গেছে, গত ২দিনের টানাবর্ষণে পাহাড়ি ঢলে শুন্যরেখায় বসবাসরত প্রায় ৪ হাজার রোহিংগা তাদের জন্য নির্মিত অস্থায়ী শিবিরসমুহে পানি বন্দি হয়ে আছে বুধবার সকাল থেকেই। তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। মাচাং ঘর এবং টিলায় তারা বর্তমানে অবস্থান করছেন। তারা মিয়ানমার বাহিনীর বাধারমুখে কাটাতারের পাশে বা কাটাতার পেরিয়ে ওপারে মিয়ানমারের উচু ভ’খন্ডেও যেতে পারছে না।

নিহত ৪জনের জন্য নগদ অর্থ ত্রাণ বিতরণ
এদিকে গত মংগলবার জেলা সদরের কালাঘাটা এবং লামা উপজেলার সরইতে পাহাড়ধসে নিহত ৪জনের পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা করে, পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং চাল-ডাল,তেলসহ ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃষ্টিপাতের প্রবণতা খানিকটা কমে আসায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকারী পরিবারগুলো তাদের ঘরে ফিরতে পারেনি এখনও। এসব পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.আসলাম হোসেন এবং বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী। দ্বিতীয় দিনেও চালু হয়নি বান্দরবানের সাথে রাঙামাটি ও রুমা উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here