স্টাফ রিপোর্টার :: আগামী অর্থ বছরের জন্য বৃদ্ধ, বিধবা, পরিত্যাক্ত নারী এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীসহ দরিদ্র লোকদের জন্য বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থ বছরের জন্য পেশকৃত প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কমসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় এই কর্মসূচির অধীনে আরও দরিদ্র মানুষকে নিয়ে আসতে নিরাপত্তা বেষ্টনি আরও সম্প্রসারনের প্রস্তাব করেন। তিনি বাজেট বক্তৃতায় দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তায় বৃদ্ধ ও অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য মাসিক ভাতা আরও বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সুফল সমাজের সকলেই পাবে।’

বাজেটে দরিদ্র লোক এবং বিধবা ও পরিত্যাক্ত নারীর মাসিক ভাতা জনপ্রতি বর্তমান বরাদ্ধ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা, অসহায় ও পরিত্যাক্ত নারীদের সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৩৫ লাখ ও ১২ দশমিক ৬৫ লাখ। বর্তমানে এই সংখ্যা আছে ৩০ দশমিক ৫০ লাখ বৃদ্ধ ও ১১ দশমিক ৫০ লাখ সুবিধা বঞ্চিত নারী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন মাসিক ভাতা পাচ্ছেন।

বাজেটে আগামী অর্থ বছরে ছয় লাখ দরিদ্র নারীকে মাসিক ৭০০ টাকা মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরে পাঁচ লাখ ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা পাচ্ছেন। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধদের জন্য মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করে ৬০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সুবিধাভোগী অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বর্তমান সাত দশমিক ২৫ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৮ দশমিক ২৫ লাখ।

অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা বৃত্তি ভাতার সুবিধা ভোগির সংখ্যা প্রত্যেক পর্যায়ে পাঁচ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার করার প্রস্তাব করেন। তিনি তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির সুপারিশ করে তাদের জন্য ১১ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন।

বাজেটে বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি করে ছয় দশমিক ৩২ কোটি টাকা থেকে ২৭ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বাজেটে চা শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে খাদ্য সহায়তায় ভর্তুকি হিসাবে এককালীন পাঁচ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন।

তিনি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক ভাতার অতিরিক্ত প্রত্যেকের জন্য ১০ হাজার টাকা করে উৎসব ভাতা দেয়ারও সুপারিশ করেন। তিনি কর্মজীবি মাদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা সুবিধাভোগীর সংখ্যা বর্তমান এক দশমিক ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ করার প্রস্তাব করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here