সামগ্রীক উন্নয়নে বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগামী সংসদ অধিবেশনে জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ উপস্থান করা হবে। এ বাজেট নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের থাকে নানান কৌতহল, থাকে মতামত-পরামর্শ। বাজেটে নারী তার কতটুকু অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে পাশাপাশি আগামী বাজেটে তাদের প্রত্যাশা কি? দেশের বিশিষ্ট নারী জনদের কাছে এ সব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন আ হ ম ফয়সল।  

খুশী কবিরখুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি

তিনি, জাতীয় বাজেটের মধ্যে নারীর জন্য বরাদ্দ, বাজেট নারীর জন্য কতটুকু প্রতিফলন হচ্ছে, এ বিষয়টা আগে সরকার বুঝতেন না। এখন সরকার এ বিষয়টাকে বোঝেন এবং জেন্ডার বাজেট কনস্টে গ্রহণ গ্রহণ করেছে। বাজেটে নারীর জন্য বরাদ্দ, আর সার্বিক বাজেটে নারী সুযোগগুলো কতটুকু পাচ্ছে এটিই আমাদের দেখার বিষয়। শিক্ষায় নারীদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ থাকে তার আমরা প্রতিফলন দেখেছি। যেমন স্কুল, কলেজে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।

খুশী কবির বলেন, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নারী বান্ধব না, এ বিষয়ে উদযোগ নিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নারীর বড় একটি অংশগ্রহণ আছে কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশ্ন আছে।

তিনি আরো বলেন, এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাত এখনো নারী বান্দব না। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নারী চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়ানষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার আছে, এগুলোর বাজেট বরাদ্দ থাকে কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন থাকে না। এগুলোতে নারী আরো হয়রানীর শিকার হয়। দরিরদ্ররা বিনামূল্যে আইনী সহায়তা পাওয়ার কথা, এটার জন্য একটা বাজেট বরাদ্দ থাকে কিন্তু এখানেও সাধারণ মানুষ এ সুবিধাটা পান না আর নারীতো পরের কথা।

খুশী কবির বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেয়া প্রয়োজন। একজন সাধারণ নারী কৃষক দেশের সরকার থেকে যা পাওনা, যা তার অধিকার, তা তারা পায় না। আমাদের দেশের নারীরা শোষিত, বঞ্চিত, বিশেষ করে অর্থনৌতিকভাবেও বঞ্চিত, সামাজিক ভাবেও বঞ্চিত। পার্বত্র চট্টগ্রামে আধিবাসীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নেয়া  প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here