স্টাফ রিপোর্টার :: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বহির্বিশ্বে ব্র্যান্ডিং ধরে রাখতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন বলে মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ঢাকায় সফররত ইইউ সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ডিসেম্বরে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করছি, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। তবে এ নির্বাচনে ইইউর পক্ষ থেকে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সুসান ওদরা, লুরা দা সিলভা, ইউকের রাজনৈতিক এবং সামাজিক কমিটির সদস্য মাদি সামহা, ইউরোপিয়ান পিপল পার্টির সদস্য ফ্লুভিউ মারতুসিলু, মার্ক এলড্রিন, আলবার্তো, সান্ড্রা ক্রিস্টিনা প্রমুখ।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন- আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন। তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তাই আমরা বিশ্বাস করি আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
আসন্ন নির্বাচনে ইইউ প্রতিনিধি দল না আসার কারণ আছে জানতে চাইলে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মূলত বাজেট সমস্যার কারণেই পর্যবেক্ষক পাঠানো হচ্ছে না। অন্য কোনো কারণ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দারুণভাবে এগোচ্ছে। শিল্পায়নে বিশ্বের কাছে মডেল হতে পারে বাংলাদেশ। সফরে আসার আগে শিল্পায়ন ও আর্থ সামাজিক অবস্থা নিয়ে আমাদের ভুল ধারণা ছিল। বাংলাদেশ সফরে এসে তা দূর হয়েছে।
সফরে বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক না করার কারণ জানতে চাইলে প্রতিনিধি দলের প্রধান আলভার মাথাউজ বলেন, আমরা সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। পরে যে সরকার থাকবে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। যদি সরকারে বিএনপি দল থাকে বৈঠকটি তাদের সঙ্গেই হবে।
বাংলাদেশে শিল্পায়ন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শিল্পায়নে বিশ্বে উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ। কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করে দেখা গেছে সেখানে শ্রমিকদের অবস্থা ভালো। কারখানার পরিবেশও ভালো। কিন্তু সফরে আসার আগে বাংলাদেশকে একটি গরিব ও দুর্বল অর্থনীতির দেশ মনে করেছিলাম। কিন্তু এ ধারণা এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ গর্ব করার মতো অবস্থান তৈরি করেছে।