জাতিসংঘডেস্ক নিউজ :: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি প্রত্যাশা করছেন- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দেশটিতে একটি পরিবেশ গড়ে উঠবে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান দুজারিক শুক্রবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ প্রত্যাশার কথা জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার, শাস্তি ও বাংলাদেশে পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের দিকে জাতিসংঘ তীক্ষ্ম নজর রাখছে বলেও জানান দুজারিক।

 

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয় কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে দুজারিক বলেন, ‘আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। প্রত্যাশা ব্যক্ত করি… যে কোনো দেশের ক্ষেত্রেই… এটা আমাদের মৌলিক অবস্থান।’

গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে অযোগ্য করতেই খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, আমরা বলেছি পরিস্থিতির দিকে আমরা তীক্ষè দৃষ্টি রাখছি। আমরা আশা করছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হতে পারে, সেরকম একটি পরিবেশ গড়ে তোলা হবে।’

জিয়া অরফারেনজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্র“য়ারি বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই মামলায় তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার দিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আর লন্ডনে রয়েছে তারেক রহমান। এ রায়ের প্রতিবাদে বিদেশি গণমাধ্যম ও কূটনীতিকদের আলাদাভাবে ডেকে ব্রিফ দিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি খালেদার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, অবস্থান, অনশন, গণস্বাক্ষরের মতো কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে- খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এ সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির জন্য তার সাজা হয়েছে। নির্বাচনে না এলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here