-শামসুদ্দিন হীরা
আকাশ বুনেছিল নিস্তব্ধতার গভীর অসুখ
বিবশ হাওয়ায় ভেসে যায় কালো মেঘ
যতোটা গাম্ভীর্য তার গভীরে বৃষ্টিজল লুকিয়ে থাকে
বিষাদে জমে স্তব্ধ মেঘ
বেদনায় আকাশ কাঁদে।
জমানো বৃষ্টি ধারন করে ক্লান্ত মেঘ,
আকাশে ভেসে চলা মেঘ দেখে কাতর প্রেমিক।
দেখে, মেঘ অরণ্যে দূর পৃথিবীর গহ্বরে।
কোন এক মেঘ এসে ঢেকে দিয়ে গেছে তারে-
প্রেমিক মনে গেয়ে উঠে-
আকাশ ভরা জল দেখি না
মেঘ দেখি না মুখে।
হৃদয় মাঝে পুড়ছো তুমি
গ্রীষ্মদাহে দুঃখে।
সে তখন মেঘালোকে কবিতা শুনতে পায়,
কখনো বৃষ্টি আসে কৈশর প্রেমের মতন।
দুরন্ত হাতে আনকোরা স্পর্শে ধরে প্রেমিকাকে
সে তখন বৃষ্টি ছুঁতে চায়।
প্রণয় শরীর প্রশ্রয়ের আলিঙ্গন খুঁজে বৃষ্টি ফোঁটায়।
শীতল আবেশে চোখ কাঁপে তৃপ্তির শিহরণে।
বৃষ্টি ফোঁটায় প্রাণ ফিরে আসে বালিকা ঠোঁটে
যেমন কাতর চাতকের ঠোঁটে আঁকে জলের ফোঁটা।
হে বৃষ্টি ঝরো তুমি প্রকৃতির বুকে।
চারদিকে শিশুর গুমোট কান্না
পথ পথিকের হাসফাস!
জৈষ্ঠের খরতাপে কাতর কোকিল,
গান ভুলে আর্তনাতে ফেটে পরে রোদনে।
এমন থম্থমে আবেগ হারা প্রকৃতি,
উন্মোত্ত উল্লাসে আদিম হিস্রতায়।
কৃষ্ণকায় ছায়াসমূহ দিবালোকে কুন্ডোলী আঁকে।
চারদিকে লোভী কামাতুর কামুকেরা।
যেমন তুমিহীন ভূমিহীনের স্বরুপ।
হে বৃষ্টি! স্নাত করো আত্মজিজ্ঞাসাকে
মুক্ত করো অযাচিত প্রেতাত্মার রাহু থেকে।