তানসেন আলম, বগুড়া প্রতিনিধি :: বগুড়ায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে করতোয়া নদীতে ঝাপ দিয়ে মৃত্য বরন করছে মোস্তাফিজার রহমান মাসুম (৩৫) নামের এক যুবক। সে শিবগঞ্জ থানার মহাস্হানের বারিদার পাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের ছেলে।
এদিকে মাসুমের মৃত্যুর জন্য তার স্বজনরা মাদক বিরোধী অভিযানে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়ী করেছে। তাদের বিচারের দাবিতে মাসুমের স্বজনরা তার লাশ নিয়ে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২ আগষ্ঠ সন্ধ্যায় পুলিশ বারিদার পাড়ায় অভিযান চালালে পুলিশের ভয়ে মোস্তাফিজার রহমাম মাসুম দৌড়ে পালিয়ে পাশের করতোয়া নদীতে ঝাপ দেয়। পুলিশও পিছু নেয় তার। পরে অনেক খুজেও পুলিশ তাকে পায়না। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও ঘটনাস্হলে এসে করতোয়া নদীতে খুজতে থাকে। তারা মাসুমকে খুজে না পেয়ে রাতে চলে যায়। সোমবার দুপুরে করতোয়া নদীতে মাসুমের লাশ ভেসে উঠলে স্হানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্হানীয়রা আরও জানায়, মদক সেবন এবং বিক্রীর অভিযোগে প্রায়ই সে জেলে থাকে। জেল থেকে জামিনে এসে আবারও একই কাজে লেগে যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তোফাজ্জ্বল হোসেন তোফা জানান, মাসুমের মৃত্যুর জন্য তার স্বজনরা মাদক বিরোধী অভিযানে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়ী করেছে। তাদের বিচারের দাবিতে মাসুমের স্বজনরা তার লাশ নিয়ে দিকে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ অবরোধকারীদের বুঝিয়ে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে ৩০ মিনিট পর দুপুর ২টার দিকে যান চলাচল আবারও শুরু হয়। মাসুম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে মাদক সেবী ছিল।
শিবগঞ্জ থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান জানান, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে শিবগন্জ থানায় ৭টি মাদক মামলা রয়েছে। সে মাদক সেবী ও ব্যাবসায়ী। পুলিশ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালালে একজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের ভয়ে মাসুম দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে করতোয়া নদীতে ঝাপ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে নদীতে খুজেও উদ্ধার করতে পারেনি।আজ সোমবার করতোয়া নদী থেকে মাসুমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।