বগুড়ায় নিরাপদ খাদ্য প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিতবগুড়া:: বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে সফলতা অর্জন করলেও দেশের প্রায় সর্বত্র খাদ্যে ভেজাল একটি জন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে নিরাপদ খাদ্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং জন সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ সমাজের অন্যতম ‘জনমত গঠনকারী’ গ্রুপ হিসেবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিকশিত বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনায় বগুড়া সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক এক কর্মশালায় বক্তারা এই অভিমত তুলে ধরেন।

শহরের সেউজগাড়ী গোধুলী মিলনায়তনে বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলুল করিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ অফিসের ন্যাশনাল এডভাইজার ড. রোকেয়া খানম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নেটওয়ার্ক এর অন্যতম সংগঠক বিশিষ্ট কলাম লেখক আতাউর রহমান মিটন, দৈনিক করতোয়া পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার মাসুদার রহমান রানা, বগুড়া জেলা নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ফাররুখ আকবর, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড কর্মকর্তা সোহেলা রানা এবং বিকশিত বাংলাদেশ এর বগুড়া জেলা পরিচালক, সেউজগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রতিদিন যা খাচ্ছি তা কতখানি নিরাপদ তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে কোমলমতি শিশুরা প্রতিদিন যেভাবে জাঙ্ক ফুডে আসক্ত হয়ে পড়ছে তাতে শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। আইসিডিডিআরবি’র এক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে এখন ১৪% শিশুর ওজন বেশি এবং বিশেষজ্ঞদের মতে মুটিয়ে যাওয়ার কারণে শিশুরা কিডনীসহ বহুবিধ জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে খাদ্য গ্রহণে অনীহা বাড়ছে। তাদের মধ্যে চঞ্চলতা এবং উদ্যমতা হ্রাস পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম বড় ধরণের স্বাস্থ্যয ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত হবে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শিশুদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।– প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here