ফ্ল্যাট ও প্লটের

স্টাফ রিপোর্টার :: আবাসন খাতের চলমান স্থবিরতা কাটাতে আসন্ন অর্থবছরে কমছে ফ্ল্যাট ও প্লটের নিবন্ধন ফি। এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বাজেট বক্তৃতা উত্থাপনের সময় এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বক্তৃতায় বলা হয়, উচ্চ নিবন্ধন ব্যয়ের কারণে দেশের আবাসন খাত দীর্ঘদিন ধরে প্রায় স্থবির হয়ে আছে। খাতটির স্থবিরতার কারণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া অপ্রদর্শিত আয়ের পরিমাণও বাড়ছে। এ কারণে সব ধরনের নিবন্ধন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যৌক্তিক নিবন্ধন ফি নির্ধারণের ফলে আবাসন খাতের সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব। একই সঙ্গে অপ্রদর্শিত আয়ের প্রবণতাও কমবে।

বাজেট বক্তৃতায় আরো বলা হয়, ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ভিত্তিতে ৬০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণে হাতিরঝিল, গুলশান, বনানী, উত্তরা, কুড়িল ও পূর্বাচলে ৩৯ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আরো ৫৫ কিলোমিটার খাল খননের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ ছাড়া তুরাগ নদের বন্যাপ্রবাহ অঞ্চলের ৯ হাজার ১২৫ একর এলাকার ৬২ শতাংশ জায়গা জলাধার হিসেবে সংরক্ষিত রেখে বাকি এলাকায় কমপ্যাক্ট টাউনশিপ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

ফ্ল্যাট ও প্লটের নিবন্ধন ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা। এর ফলে আবাসন খাতের স্থবিরতা কাটার পাশাপাশি সরকার লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছে তারা।

উল্লেখ্য, ফ্ল্যাট এবং জমি নিবন্ধন করতে বর্তমানে ১৪-১৬ শতাংশ ফি দিতে হয়। পুরনো ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে আবারও নতুন ফ্ল্যাটের সমান নিবন্ধন ফি দিতে হয়। নিবন্ধন ব্যয় বেশি থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে খাতটির ব্যবসায়ীরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here