রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার :: আর কয়েক দিন পরই রাশিয়ায় বসছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ-২০১৮। এটি ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টের ২১তম আসর। বৈশ্বিক মঞ্চ মানেই পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়া। তাই নতুনের আগে পুরনো রেকর্ডগুলো দেখে নেয়া যাক একবার।

সর্বোচ্চ বিশ্বকাপজয়ী দল যারা:

স্বপ্নের স্বর্ণের ট্রফিটা পাঁচবার ঘরে তুলেছে ব্রাজিল। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

আর স্বর্ণের ট্রফিটি চারবার ঘরে তুলে ইতালি। ১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২ ও ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি।

এছাড়া জার্মানিও চারবার ট্রফিটি বগলদাবা করেছে। ১৯৫৪, ১৯৭৮, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়।

বিশ্বকাপজয়ী দেশ এখন পর্যন্ত উরুগুয়ে ২ বার, ইতালি ৪ বার, ব্রাজিল ৫ বার, জার্মানি ৪ বার, ইংল্যান্ড ১ বার, আর্জেন্টিনা ২ বার, ফ্রান্স ১ বার ও স্পেন ১ বার বিশ্বকাপ জিতেছে।

সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার ফুটবল ইতিহাসে ৫টি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি আছে মাত্র দুজনের। মেক্সিকোর আন্তোনিও কারবাহালের ও জার্মানির লোথার ম্যাথিউসের। এবার মাঠে নামলে এই বিরল তালিকায় নাম লেখাবেন ৩৯ বছর বয়সী মেক্সিকান মিডফিল্ডার রাফায়েল মার্কেজ।

দ্রুততম গোল দ্রুততম গোল তুরস্কের হাকান সুকুরের। ২০০২ বিশ্বকাপে এ কীর্তি গড়েন তিনি। খেলার মাত্র ১০.৮ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে এ ইতিহাস রচনা করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এ রেকর্ডের দেখা পান সুকুর। ওই ম্যাচে তুরস্ক জেতে ৩-১ গোলে৷ রাজনৈতিক কারণে তুরস্ক সরকারের রোষানলে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন এ রেকর্ডধারী।

বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল একটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল করেছেন ফ্রান্সের জাঁ ফন্টেইন। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে, সর্বমোট ১৩ বার নিশানাভেদ করেন তিনি।

একাধিক বিশ্বকাপ মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার। ২৪টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন এ সেন্টার ফরোয়ার্ড। ১৬টি গোল করে তিনিই তালিকার শীর্ষে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি রোনাল্ডো বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন ১৯টি। ১৫টি গোল রয়েছে তার অর্জনের খাতায়।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ খেলোয়াড় বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় উত্তর আয়ারল্যান্ডের নর্মান হোয়াইটসাইড। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। তার বয়স ছিল তখন ১৭ বছর ১ মাস ১০ দিন৷

বিশ্বকাপে প্রবীণতম খেলোয়াড় বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবীণ খেলোয়াড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রজার মিলা। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর ১ মাস ৮ দিন।

সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলা দল স্বভাবতই ব্রাজিল (২০ বার)! সেলেকাওরাই একমাত্র দল যারা ১৯৩০ থেকে অদ্যাবধি কোনো বিশ্বকাপেই অনুপস্থিত থাকেনি। ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে।

সর্বোচ্চ ফাইনাল খেলা দল বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফাইনাল খেলা দল যৌথভাবে ব্রাজিল ও জার্মানি। দুদলই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৭ বার করে লড়েছে।

সবচেয়ে বেশি টানা শিরোপা টানা দুবার শিরোপা জয়ের কীর্তি আছে ইতালি ও ব্রাজিলের। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ফুটবলের বৈশ্বিক আসরের শিরোপা ঘরে তোলে আজ্জুরিরা। আর ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি ছিনিয়ে নেয় সাম্বার দেশ।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল এ কীর্তি আছে ওলেগ সালেঙ্কোর। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে রাশিয়া-ক্যামেরুন ম্যাচে তিনি একই ঠিকানায় বল পাঠান ৫ বার।

সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ গোলদাতা ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। ১৭ বছর ২৩৯ দিনে বিশ্বকাপে গোলের খাতা খোলেন ফুটবলের রাজা।

সবচেয়ে বেশি গোলের ম্যাচ অস্ট্রিয়া বনাম সুইজারল্যান্ড (৭-৫)। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে এ গোলবন্যা দেখেন ফুটবলপ্রেমীরা।

সর্বোচ্চ সময় গোল না খাওয়া গোলরক্ষক বরাবরই বিখ্যাত সব গোলরক্ষকের চারণভূমি ইতালি। ওয়াল্টার জেঙ্গা তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ৫১৭ মিনিট ধরে কোনো গোল হজম করেননি তিনি।

সর্বোচ্চ বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় এ রেকর্ডটির মালিক একমাত্র পেলে। সর্বোচ্চ ৩ বার শিরোপা ছুঁয়ে দেখার রেকর্ড আছে তার। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে এ নজির স্থাপন করেন তিনি।

সবচেয়ে বেশি বয়সী কোচ এ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন অটো রেহেগাল। ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রিসের ডাগআউটে বসে তা দেখান তিনি। ওই সময় তার বয়স ছিল ৭১ বছর ৩১৭ দিন।

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে টুর্নামেন্ট জয় এ নজির আছে মাত্র দুজনের- মারিও জাগালো ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের। পরিশেষে জেনে আশ্চর্য হবেন, বিদেশি কোচ নিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি কোনো দল।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here