ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ঢল ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০ জনে। এখনো অসংখ্য মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। খবর: বিবিসি, আল-জাজিরা ও রয়টার্স অনলাইন।

শুক্রবার রাতে ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিনদানাও দ্বীপে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ওয়াশি। ভারী বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাসে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। গৃহহীন হয়ে পড়ে অন্তত এক লাখ মানুষ। ঝড়ে বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকে।

ফিলিপাইনের জাতীয় রেড ক্রসের (পিএনআরসি) মহাসচিব জেনারেল গোয়েনডোলিন রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা চার শতাধিকের ওপরে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৪২৬ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এরআগে পিএনআরসি জানায়, মিনদানাও ও আরেকটি দ্বীপে প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যায় ২৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশপাশের শহরগুলোর উপকূলীয় এলাকা থেকে এখনো লাশ উদ্ধার করছে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা।

ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা মৃতের সংখ্যা ১৩১ বলে জানিয়েছে। তবে অন্য সরকারি কর্মকর্তারাও বলছেন, নিহতের সংখ্যা চারশ’ ছাড়িয়েছে।

হতাহতের বেশির ভাগই মিন্দানাও, ইলিগান ও কাগায়েন দি ওরোর বাসিন্দা। সেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও অন্যান্য উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় দুর্যোগ উদ্ধার সংস্থার প্রধান বেনিতো রামোস বলেন, প্রতি মুহূর্তে নিহতের খবর আসছে। মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে আকস্মিকভাবে এই ঝড় আঘাত হানে, যখন প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিল। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ মিলিমিটার অনুপাতে বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা এই বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল লিওপলদো গোলান জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজে জরুরিভাবে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ইলিগান শহরের মেয়র লরেন্স ক্রুজ বলেন, শহরের উপকণ্ঠে  অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শহরের ১০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া পূর্বাভাসকেন্দ্র জানিয়েছে, ঝড়ের মুখটি এখন সুলু সাগরের দিকে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনে প্রতিবছর অন্তত ২০টি বড় ধরনের ঝড় আঘাত হানে। গত সেপ্টেম্বরে উপর্যুপুরি কয়েকটি ঝড়ের আঘাতে ১০০ লোক মারা যায়।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here