ডেস্ক নিউজ :: উয়েফা তথা ইউরোপিয়ান লিগের ‘বর্ষসেরা’ পুরস্কার জিততে পারেননি। তবে ঠিকই এ বছর ফিফার বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট মেন’স প্লেয়ার’ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। এর মাধ্যমে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ইতালির মিলান শহরের অপেরা হাউস লা স্কালায় বসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস ২০১৯’ দেওয়ার অনুষ্ঠান। জাঁকালো এই অনুষ্ঠানেই বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করেন ফিফা সভাপতি জিওভান্নি ইনফান্তিনো।

অবশ্য মেসির সঙ্গে এবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদোও, ছিলেন লিভারপুলের ডাচ তারকা ভার্জিল ফন ডাইক। শেষতক গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলা মেসির বাক্সেই বেশি পড়ে ফিফার অন্তর্ভূক্ত ফুটবল খেলুড়ে দেশগুলোর কোচ ও অধিনায়কের ভোট।

গত বছর রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদরিচের হাতে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার ওঠার আগে টানা দশ বছর পাঁচ বার করে এই পুরস্কার জেতেন মেসি ও রোনালদো। তবে এবার ষষ্ঠবারের মতো এই পুরস্কার জিতে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন লা লিগা ছেড়ে ইতালিয়ান লিগে চলে যাওয়া রোনালদোকে।

গত মৌসুমে প্রায় একক নৈপুণ্যে বার্সেলোনাকে লা লিগা জিতিয়েছেন মেসি। কাতালান ক্লাবটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ও কোপা দেল রে’র ফাইনালে ওঠার ক্ষেত্রেও বড় অবদান ছিল আর্জেন্টাইন তারকার। ক্লাবের হয়ে তিনি পুরো মৌসুমে ৫১ ম্যাচে করেছিলেন ৫০ গোল। আর ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে ৫৪ গোল করেন মেসি।

এর আগে মেসি এই পুরস্কারটি প্রথম জেতেন ২০০৯ সালে। তখন পুরস্কারটি ছিল ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’। পরে প্রখ্যাত ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’র দিয়ে আসা ‘ব্যালন ডি’অর’ সম্মাননাকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একীভূত করে দেওয়া হতে থাকে ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ অ্যাওয়ার্ড। ২০১০ সাল থেকে এই ব্যালন ডি’র টানা তিনবার জেতেন মেসি। ফাঁকে দু’বার রোনালদো জেতার পর ২০১৫ সালে আবার এই ব্যালন ডি’অর ওঠে আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here