ফিটনেসবিহীন গাড়ি

সুলতান মাহমুদ আরিফ :: রাজধানীর রাজপথগুলো যেন এখন ফিটনেসবিহীন যানবাহনের আওতায় চলে এসেছে।বিশেষ করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন রুটে যেসব বাস চলাচল করে তার বেশির ভাগই লক্কড়-জক্কড় এক করুণ অবস্থা।ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল আইনগত দিক থেকে বে-আইনি হলেও এর দেখার যেন কেউ নেই।

বাসচালকদের পাল্লা-পাল্লির রেশে প্রায় দুর্ঘটনায় কেড়ে নিচ্ছে শত শত প্রাণ।পাল্লা-পাল্লীর কারণে রাজধানীতে ১ শতাংশ বাস পা্ওয়া যাবে না যে বাসগুলোতে অন্য বাসের সাথে ঘসাঘসির চিহ্ন নেই।এসব অবস্থা আজ পুরো জাতির মাঝে হতাশা সৃষ্টি করে দিচ্ছে।আজও (২৮ মার্চ) চট্টগ্রামে ৮ জন এবং যশোরে ৩ জনসহ বিভিন্ন স্থানে সর্বমোট ২২জন নিহত হবার খবর পাওয়া যায়।

রাজধানীর রাস্তাগুলোতে বের হলেই চোখে পড়ে এসব লক্কড়-জক্কড় কঙ্কালময় আতঙ্কগ্রস্থ বাসগুলোর।বাস-মিনিবাসের বাম্পারসহ ভিবিন্ন অংশ ঝুলে থাকে খুবেই বিপজ্জনকভাবে।কোনটার সামনের অংশ ভাঙ্গা আবার কোনটার পিছনের অংশের অবস্থা খুবই করুন এবং জীর্ণদশা।এসব বাস নামক মরণঘাতির অবসান চাই সাধারণ।

এসব লক্কড়-জক্কড় গণপরিহণের সাথে যুক্ত হচ্ছে ফিটনেসবিহীন ট্রাক, লরি, সিএনজি, টেম্পো, মাইক্রো আর প্রাইভেট কারগুলো।আর এসব যানবাহনগুলো ভয়ানক শব্দ করার পাশাপাশি নিকশ কালো ধোঁয়া উড়িয়ে বেড়ায় পুরো রাজধানী জুড়ে।সড়ক ও পরিবহন খাতের মরণ ঘাতী যেন দিন দিন নৈরাজ্যের ‍স্রোতের বেগে বেড়ে চলছে।

রাজধানীর বেশীর ভাগ বাস-মিনিবাস লক্কড়-জক্কড় এবং ফিটনেসবীহিন হলেও গাড়ির মালিক, রুট কমিটি, ট্রাফিক বিভাগ -কারো যেন সেই ব্যপারে কোন খুসরত নেই বললেই চলে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন রুটে গাড়ি চলাচলকারী ড্রাইভারদের অধিকাংশের কোন লাইসেন্স নেই।এ ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকের রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো এই অবৈধ গাড়িগুলোর রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়ায়।

এগুলো দেখার জন্য সরকারিভাবে পোষা ব্যক্তিগুলোও লোভনিয়তার শিকড়ে আবদ্ধ।অতএব এই নৈরাজ্য থেকে বের হয়ে মানবতার জীবন রক্ষা করার সুবাদে সরকারকে আরো বিবেচ্যবান হতে হবে।

 

 

লেখকঃ অনার্স ৩য় বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা। 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here