আ হ ম ফয়সল :: এখনো নিখোজ রয়েছে এ এস এম ফারহান হোসেন (২৮)। গত ১১ মে তিনি নিখোজ হন। ঐ দিন বেলা সাড়ে চার টার দিকে ফারহান হোসেন মহাখালীর অফিস থেকে বের হন এবং বাহির হওয়ার সময়ে স্বাভাবিক ভাবে তার টেবিলে রক্ষিত ল্যাপটপ, ড্রয়ার ও অন্যান্য সামগ্রী খোলা রেখে বাহির হয়। কিন্তু তার পর থেকে অদ্যাবধি তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ফারহান হোসেন ‘ডিএনএস সফটওয়্যার লিমিটেড’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে ‘রিলেশনশীপ ম্যানেজার’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফারহানের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আজ বুধবার তার বাবা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
নিখোজের পিতা সাহাদাত হোসেন জানান, বিভিন্ন স্থানে খোজা খুজির পর না পেয়ে ঐ দিন রাতেই রূপনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার নং- ৪৩২। জিডি করার পর রূপনগর থানা থেকে জানানো হয়, নিখোঁজ ব্যাক্তির সর্বশেষ অবস্থান বনানী থানা এলাকায় বিধায়- সাধারণ ডায়েরী বনানী থানায় করার জন্য অনুরোধ করেন। তার প্রেক্ষীতে পর দিন ১২ মে বনানী থানায় পূনরায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যার নং- ৫৫০। ১২ মে র্যাব-৪ এ গিয়েও তিনি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন।
সাহাদাত হোসেন আরো জানান, গত ১৬ মে বেলা পোনে ১২টার দিকে আমার মোবাইলে ফোন করে একজন ব্যাক্তি এ এস এম ফারহান হোসেনের রাখার খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। পরক্ষণে নিখোঁজ এ এস এম ফারহান হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার থেকেও অন্য এক ব্যক্তি আমার কাছে এই টাকা দাবী করেন। তারও কিছু সময় পর নিখোঁজের খালু তৌহিদুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে নিখোজ ফারহানের নম্বর থেকে ফোন আসে। কথোপকথনের পর তাদের কথা অনুযায়ী ভীত হয়ে ফারহানের ৫ দিনের পরিচর্চা বাবত ২০ হাজার টাকা তাদের দেয়া নম্বরে পাঠানো হয়।
বিকাশ করে টাকা পাঠানোর পর থেকে এখন তাদের সবগুলো নম্বরই বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টিও পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে নিখোজের পিতা সাহাদাত হোসেন জানান।
ঘটনায় কোন সুরাহা করতে না পেরে নিখোঁজের পিতা ২৩ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ২০। পরবর্তীতে মামলাটির অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ডিসি নর্থ তদন্ত করছে। ফারহানের বাবা সাহাদাত হোসেন জানান, অপহরনকারীরা বাইরের একটি দোকানে ফারহানের মোবাইল সেটটি বিক্রি করে দেয়। সম্প্রতি ডিবি পুলিশ ফোন সেটটি উদ্ধার করলেও আজ অবধি ফারহানের কোন সন্ধান দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, এ এস এম ফারহান হোসেনের সাথে উত্তরাস্থ ফারজানা আক্তার ববির সাথে বিবাহ আক্ত অনুষ্ঠান গত তিন মাস পূর্বে অনুষ্ঠিত হয়। তবে তার স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আগামী অক্টোবর মাসে বাসায় আনার দিন ক্ষণ ঠিক করা হয়েছিল।
দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও নিখোঁজের কোনও আশানুরুপ সন্ধান না পেয়ে পরিবারটি চরম উৎকন্ঠায় দিন অতিবাহিত করছে।