এর আগে চারটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তাতে দুটি জয় ডাচদের। একটি জয় আর্জেন্টিনার। বাকি একটি ম্যাচ শেষ হয়েছে ড্রয়ে। পরিসংখ্যানের এই তথ্যই বলে দিচ্ছে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। আজকের ম্যাচেও খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না।
তারপরও জয়- পরাজয় নির্ধারণ করতে তো পার্থক্য দরকারই- যা গড়ে দিতে পারেন মেসি। আর্জেন্টিনার এই বিস্ময়ের জবাব হতে পারেন ডাচ তারকা রোবেন।
সেমিফাইনালে উঠার পথে দুদলই এখন পর্যন্ত অপরাজিত। দুদলের গ্রুপ পর্ব ছিলো দুর্দান্ত। আর্জেন্টিনাকে প্রায় একা টেনে তুলেছেন মেসি। আর ডাচরা দেখিয়েছে দলীয় শক্তির প্রদর্শনী। আজকেরও ম্যাচে এমনই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর্জেন্টাইনদের স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে মেসিকেই।
পক্ষান্তরে দলীয় সমন্বয়ে স্বপ্ন পূরণ হতে পারে ডাচদের। বিশেষভাবে বলা যায় রোবেন ও পার্সির কথা। এই দুজন বদলে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য।
আজকের ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুশ্চিন্তার নাম মধ্যমাঠ। ডি মারিয়ার অনুপস্থিতি কিভাবে সামলাবে আর্জেন্টিনা- তা এক বড় প্রশ্নই বটে। সাবেলার কাছে অবশ্য একাধিক বিকল্প আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার উপর ভরসা করবেন সাবেলা তাই এখন দেখার বিষয়।
ডি মারিয়া না থাকলেও আজ থাকছেন আগুয়েরো। এক ম্যাচ পর তিনি আবার দলে ফিরছেন আজ। তার ফেরায় আবার একসাথে মেসি-হিগুয়েইন ও আগুয়েরো; বিশ্বকাপের আগের আলোচিত ‘ত্রয়ী’। আজ কি একসাথে জ্বলে উঠতে পারবেন তারা? তাদের জ্বলে উঠাই নিশ্চিত করতে পারে আর্জেন্টিনার ভাগ্য।
আবার এই ত্রয়ীর কপাল পুড়তে পারেন পার্সি-রোবেন ও স্নেইডারকে নিয়ে গড়া ডাচ আক্রমণ বিভাগ। সবকিছুই নির্ভর করছে মাঠের ভালো খেলার উপর। খেলার পরই বোঝা যাবে, ২৪ বছরের হাহাকার ঘুচিয়ে সেমিফাইনালে উঠার আনন্দ নিয়েই ঘরে ফিরতে হবে আর্জেন্টিনাকে নাকি পঞ্চম ফাইনালে উঠতে যাচ্ছে আলবিসেলেস্তেরা।