ডেস্ক রিপোর্ট :: নরওয়েতে ফাইজারের টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের সবার বয়সই ৭৫ এর ওপরে। টিকা নিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়সহ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। তবে নরওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, ভঙ্গুর ও ঝুঁকিতে থাকা অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে টিকাদানে মৃত্যু অস্বাভাবিক নয়। আবার কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলছেন, টিকা নেয়ার পর কেবল এন্টিবডি দিয়ে শতভাগ সুরক্ষা দেয়া সম্ভব নয়।

নরওয়েতে করোনার টিকা নেয়ার পর বৃদ্ধাশ্রমের ৩৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় টিকা নেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির মানুষ। এ অবস্থায় টিকা নেবেন কি না তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত স্থানীয়দের পাশপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।

বাংলাদেশি প্রবাসী কণা দাস বলেন, নরওয়েতে যারা করোনার টিকা নেবেন সেসব স্বাস্থ্যকর্মীদের বয়স ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এনে দিতে বলেছেন।

তবে এ ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে নরওয়ে কর্তৃপক্ষ। দেশটির স্বাস্থ্য দফতর জানায়, টিকায় মৃত্যু হওয়া প্রত্যেকে আগে থেকেই চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ছিলেন। এছাড়া স্বাভাবিকভাবেই নরওয়ের বৃদ্ধাশ্রমে প্রতিদিন ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। তাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও জানায় নরওয়ে কর্তৃপক্ষ।

টিকা নিয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নেয়ার পর কেবল এন্টিবডি ভাইরাস থেকে শতভাগ সুরক্ষা দিতে পারে না।

চীন ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন প্রোগ্রামের প্রধান ওয়াং হুয়াকিং বলেন, কোভিড নাইন্টিনের এন্টিবডির পাশাপাশি ইম্যুনোলজিক্যাল মেমোরি ও সেলুলার ইম্যুনিটি কাজ করার বিষয় রয়েছে। টিকা নেয়ার পর পুরো সুরক্ষার বিষয়টি সমন্বিতভাবে হয়ে থাকে। শুধু যে এন্টিবডিই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে তা নয়। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, ভ্যাকসিন শতভাগ নিরাপদ। তবে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয় এটি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি ১ লাখ টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে মাত্র ছয়জনের মধ্যে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এখন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিরাপদ বলে দাবি করেছে ফাইজার-বায়োএনটেকসহ করোনার টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here