ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৭ সালের ছাত্র-সেনা সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুদ্দিন আহমেদ, মইন উ আহমেদ ও আরও কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির গঠন করা উপকমিটির প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় সংসদীয় উপকমিটির তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সভা শেষে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, উপকমিটির প্রতিবেদনটি সংসদের আগামী অধিবেশনের শুরুতে উপস্থাপন করা হবে। স্পিকারের কাছে অনুরোধ করা হবে যেন প্রতিবেদনটির ওপর সংসদে সাধারণ আলোচনা করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ, সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী ফজলুল বারী, এ টি এম আমিন, শামসুল আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ঘটনার জন্য তত্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের নেতিবাচক হস্তক্ষেপকেও দায়ী করা হয়।
২০০৭ সালের ২০ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর এই ঘটনা তদন্তের জন্য গত ১৯ আগস্ট রাশেদ খান মেননকে আহ্বায়ক এবং বীরেন শিকদার, শাহ আলম ও মির্জা আজমকে সদস্য করে সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়। এরপর কমিটি পর্যায়ক্রমে ছাত্র, শিক্ষক ও সেনা কর্মকর্তাদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করে। তবে সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদ লিখিত এবং মইন উ আহমেদ লিখিত ও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা