মীর আব্দুল আলীম

মীর আব্দুল আলীম :: “বিএসএফের গুলি-নির্যাতনে ২৪ ঘণ্টায় ৬ বাংলাদেশি খুন”। আজকের (২৪ জানুয়ারি) পত্রিকাগুলো ফলাও করে ছেপেছে সংবাদটি। ২০১৯ সালেই সরকারি হিসেবে ভারত সমিান্তে হত্যাকান্ড বেড়েছে ১২ গুণ। চলতি মাসে গত ১৫ দিনে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনের ১০ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারী নওগাঁর পোরশার হাঁপানিয়া সীমান্তে গতকাল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।গত ২২ জানুয়ারী ২০২০’এর ভোর থেকে গতক ২৩ জানুয়ারী ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৬ জন। মাঝে মাঝেই বিএসএফএর গুলিতে বাঙ্গালী মরে। বাঙ্গালী মারাসহজ, আর যেহেতুক প্রতিবাদ কম, কথা বলার লোক কম, তাই বিএসএফ গুলি ছুড়ছে হরদম। দীর্ঘদীন ধরেইতো সীমান্তে বাংলাদেশীদের বদ হতে দেখি। তবে বিএসএফ কিংবা ভারতীয়রা সব সময়ই বেশ নিরাপদ থকে। নীরিহ আর গরিবের গায়েই যত গুলি লাগে। ২৩ জানুয়ারী নওগাঁ সীমান্তে তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফ অবশ্য পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেছে। এমনটা হলে তাঁরা সব সময় দু:ক্ষ প্রকাশ করে ভদ্রতা দেখান বটে!

সীমান্তে হত্যাযজ্ঞের পর ভারতের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হলেও বন্ধ হয়নি হত্যা। সীমান্ত বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়; নিয়ম মাফিক বৈঠক হয়, সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাস দেয়া হয় কিন্তু ভারত সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ হয় না কখনো। আসলে সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাস সবই যেন গরল ভেল! প্রতিশ্রুতির পুরোটাই যেন প্রহসন! বারবার বাংলাদেশি নাগরিকের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। চোরাচালানে কেবল বাংলাদেশীরা নয়, ভারতীয়রাও তো জড়িত? তবে বলির পাঠা হয় কেবল বাঙ্গালী।

বরবরই দেখে আসছি, আমাদের সীমান্ত রক্ষিত নয়। সীমান্তেতে কুকুর বিড়ালের মতো মানুষ মারা হয়। ভারত সীমান্তে হরেদরে নিরস্ত্র বাংলাদেশী মরে তাতে কিছুই হয়না। ফেলানীদের মেরে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সারা বিশ্বে প্রতিবাদ হওয়ার পরও বিচার কি হচ্ছে তাতো আমরা দেখছিই। সীমান্ত হত্যার সংখ্যা শূন্যতে আনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত-দুই দেশই সম্মত হয়েছে কয়েক বছর আগে। এরপরও সেটা বন্ধ হয়নি। বরং বেড়েছে। সীমান্তে দুবৃত্বপনা চলছেই।

সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষে খোদ বিজিবি মহাপরিচালকও সীমান্তে হত্যাকান্ড বেড়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, ২০১৯ সালে সীমান্তে ৩৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরো বেশি। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের(আসক) হিসেবে ২০১৯ সালে সীমান্তে ৪৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিতে ৩৭ জন এবং নির্যাতনে ছয় জন। আহত হয়েছেন ৪৮ জন। অপহৃত হয়েছেন ৩৪ জন। ২০১৮ সালে নিহত হয়েছেন ১৪ জন। সরকারি হিসাব ধরলে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যা বেড়েছে ১২ গুণ। আর বেসরকারি হিসাবে তিনগুণের বেশি। এ বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সীমান্তে হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা দিল্লিকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে কিংবা আদৌ পাওয়া গেছে কি না, সেটি তিনি জানাননি।

ফি’বছর ধরে আমরা শুধু ভারতের বলির পাঁঠা হয়েই রইলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যন্ত কারো অঙ্গীকারই ঠিক থাকছে না। সীমান্ত হত্যাকান্ড বন্ধে তাদের প্রতিশ্রুতি ঠিক থাকে না কখনই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত প্রতিনিয়তই বাংলাদেশি নাগরিকের রক্তে রঞ্জিত হয়। সমঝোতা এবং চুক্তি লঙ্ঘন করে বিএসএফ সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করছে ও অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে-এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। আমরা সীমান্তে ভারতের এ ধরনের অমানবিক, নিষ্ঠুর ও কাপুরুষোচিত আচরণের আবারো তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের কড়া প্রতিবাদের দাবি জানাচ্ছি।

বহুবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ যৌথ উদ্যোগে সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার কথা বললেও তা সম্ভব হয়নি। এই হচ্ছে আমাদের নিয়তি। বিশ্বের বহু দেশের সাথে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত রয়েছে। তা কোথাও দীর্ঘ কোথাও সংক্ষিপ্ত। ভারতের সাথে বাংলাদেশ ছাড়াও চীন ও পাকিস্তানের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একই ধরনের সীমান্ত রয়েছে কানাডা ও মেক্সিকোর। এছাড়া রাশিয়ার সাথে চীনের দীর্ঘ সীমান্ত বিদ্যমান। কিন্তু এসব সীমান্তে সীমান্তরক্ষী কর্তৃক কোনো মানুষ হত্যা দূরে থাক, একটি গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ও সাধারণত শোনা যায় না। এসব দেশের মধ্যে বা সীমান্তে কোনো সমস্যা বা বিরোধ যে নেই, এমন নয়। সীমান্তবর্তী দেশ পাকিস্তান ও চীনের সাথে ভারতের দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ ও শত্রুতা বিদ্যমান।

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করলেও কোনো পাকিস্তানী কিংবা চীনা নাগরিক হত্যা দূরে থাক, আহত করার সাহস করতে পারে না। পারে না এজন্য যে, কোনো কারণে একজন পাকিস্তানী নাগরিককে হত্যা করলে এর তাৎক্ষণিক জবাব হিসেবে পাকিস্তান একজন ভারতীয়কে হত্যা করবে, এটা প্রায় নিশ্চিত। আর চীনের দিকে বন্দুক তাক করার সাহস এই আগ্রাসী দেশটির কোনোদিনই হবে না। সীমান্তে হত্যা বন্ধের আশ্বাস দেয়া হয় সব সময়ই, কিন্তু সে আশ্বাস সবই যেন গরল ভেল! প্রতিশ্রুতির পুরোটাই যেন প্রহসন! বার বার বাংলাদেশি নাগরিকের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। যুদ্ধাবস্থা ছাড়া বন্ধুভাবাপন্ন দুই দেশের সীমান্তে এরকম প্রাণহানি অস্বাভাবিক, অমানবিক।

সীমান্তে পৌনঃপুনিক বাংলাদেশি হত্যার দায়ভারটা শেষ বিচারে কিন্তু গিয়ে পড়ে ভারতের রাজনৈতিক সরকারের ওপরই; কারণ নির্দেশটা সেখান থেকেই আসছে। দেখামাত্রই গুলি এমন নির্দেশ অবশ্যই আছে, তাই বিএসএফ ন্যূনতম অপেক্ষা না করে বাংলাদেশের মানুষগুলোকে এভাবে হত্যা করছে। তাহলে এটা ধরে নেয়া কি খুব ভুল হবে, হাজার মৌখিক আশ্বাস থাকলেও ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেই সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা অব্যাহত রয়েছে।

কারণ বিএসএফের মতো একটা রেজিমেন্টেড বাহিনীর দায়িত্বই হলো অক্ষরে অক্ষরে উপরের নির্দেশ পালন করা। সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধের ব্যাপারে আগের নির্দেশটি প্রত্যাহার করতে হবে, সেটা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত যত প্রতিশ্রুতিই দেয়া হোক সীমান্ত হত্যা চলতেই থাকবে। অর্থাৎ সত্যিকারভাবে ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না পাল্টালে সীমান্তে এভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা বন্ধ হবে না। বৈঠক আলোচনায় লাভ হয়নি কখনই। ওরা (বিএসএফ) মানুষ মারলে মিনমিনে প্রতিবাদ হয় মাত্র। আর বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) কোনো কারণে কোনো ভারতীয়কে হত্যা করেছে তো আর রক্ষা নেই। জোর প্রতিবাদ হয়; হুঙ্কার ছোড়ে।

স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় ৫০ বছরে সীমান্তে বিস্তর হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বিএসএফ। প্রায় দিনই কোনো না কোনো সীমান্তে রক্তপাত যেন স্বাভাবিক ঘটনা। ইতিপূর্বে ফেলানি নামের একজন কিশোরীকে বিএসএফ হত্যার পর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখলে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তারপর ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ঢাকা আসেন। তাদের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তে হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হলে তারা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আশ্বাস দেন যে, সীমান্তে হত্যার সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। অর্থাৎ গুলি না চালিয়ে রাবার বুলেট জাতীয় অস্ত্র ব্যবহার করবে।

আশ্বাসের পরও সীমান্তে গুলি শুধু চলছেই না, একদিনে একসঙ্গে চার স্থানে গুলি চালিয়ে চার বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের পরও সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। বর্তমান সরকারের সময়ে ভারতকে নিরাপত্তা ও ট্রানজিটের ক্ষেত্রে কতিপয় একতরফা সুবিধা দেয়ার পর দু’দেশের সম্পর্ক খুবই নিবিড় আছে বলে দাবি করা হলেও সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকান্ড পরিচালনা, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়া এবং টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের মতো ঘটনায় সুসম্পর্কের কোনো প্রতিফলন নেই।

ভারত বাংলাদেশের বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৩০টি সীমান্তবর্তী জেলা ভারতের সাথে রয়েছে। এসব জেলা দিয়ে দুই দেশের মানুষের বিনা পাসপোর্টে যাতায়াত রয়েছে। প্রতিদিন দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পরিবার-পরিজন বা নিকট আত্মীয়-স্বজনের কাছে যাচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় বিএসএফ সীমান্তে যে নির্যাতনের হলি খেলায় মেতে উঠেছে তাতে সে দেশের সচেতন মহল, মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবীদেরও হতবাক করেছে। তারা সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, হত্যা করছে। শুধু হত্যা ও আহত করাই নয়, বিএসএফ বরাবরই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে নানা ধরনের দুষ্কর্মে লিপ্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ ভূখন্ডে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে চাষাবাদ, সীমান্ত পিলার ভাঙা, নদী থেকে জোর করে মাছ লুট, বাংলাদেশ এলাকায় নদীতে জেগে ওঠা চর জবরদখল ইত্যাকার অনৈতিক কাজে তারা লিপ্ত ছিল, আছে। বস্তুত, ভারত আগাগোড়াই বাংলাদেশকে দেয়া কোনো অঙ্গীকার রক্ষা করছে না। অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, তিস্তা চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ থেকে শুরু করে সীমান্ত হত্যাকান্ড, বাংলাদেশের ভূখন্ড বিনা উস্কানিতে অনুপ্রবেশ, সব ক্ষেত্রেই মুখে এক, মনে অন্য। এসব ব্যাপারে আমাদের ভূমিকাও স্বচ্ছ নয়। ভারত যা খুশি করে পার পেয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার দেশবাসীর চাপের মুখে যতোটা প্রতিবাদ করছে তা এতোই মৃদু যে, ভারত তোয়াক্কাই করছে না। সরকারের এই ‘দেখি না কী হয়’ নীতি ক্রমেই দেশবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে বাড়িয়ে তুলছে। আমাদের প্রত্যাশা, সীমান্ত হত্যাকান্ডসহ অন্যান্য ভারতীয় অনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরকার এবার লাগসই ও টেকসই ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়াস চালাবে। প্রয়োজনে আরও বৈঠক করতে হবে। ভারত সরকারকে বোঝাতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও নিতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এ ক্ষেত্রে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আন্তরিক হবে কি না? এ জন্য আমরা ভারতের রাজনৈতিক শুভবুদ্ধির প্রত্যাশা করি। আমরা মনে করি, সীমান্তে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির পাশাপাশি বিএসএফের বেআইনি হত্যাকান্ড বন্ধে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জরুরি। উভয়দেশের শান্তি রক্ষার্থে এবং সীমান্ত অপরাধ দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই রাষ্ট্রের পারস্পরিক সৌহার্দ্যরে কোনো বিকল্প নেই। আর এই কাজে ভারতকেই আগে এগিয়ে আসতে হবে।

সর্বোপরি আমরা বলতে চাই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যে হত্যাকান্ডগুলো ঘটে চলেছে তা দুই দেশের সুসম্পর্কের পথে অন্তরায়। সঙ্গত কারণেই দুই দেশেরই কর্তা ব্যক্তিদের সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা জরুরি। অপরাধীর শাস্তি হবে আইন অনুযায়ী কিন্তু কোনোভাবেই হত্যা সমাধান হতে পরে না। এর আগে দু’দেশের বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অনেক আশার বাণী শোনানো হয়েছে। ভারতীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার নীতিতে কাজ করা হবে। সীমান্ত হত্যারোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেয়া হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা হচ্ছে কোথায়? সবশেষে- বাংলাদেশের পরম বন্ধু দাবিদার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন- ‘প্লিজ মোদী প্লিজ, সীমান্ত হত্যাকান্ড বন্ধে বাংলাদেশিদের প্রতি সদয় হউন।

 

 

 

 

লেখক: সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও গবেষক। E-mail- newsstoremir@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here