ঢাকা: ভারতের পনেরতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সোমবার বিকেলে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।
নজিরবিহীন এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রায় ৪ হাজার অতিথি থাকছেন, এর মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানেরা রয়েছেন।ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন স্পীকার শিরিন শারমীন চৌধুরী। সব মিলিয়ে প্রায় চার হাজার অতিথি এতে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা তাদের শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ভারতীয় বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।
৬৩ বছরের নরেন্দ্র মোদি এবং তার মন্ত্রিসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ পড়াবেন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি। অটল বিহারি বাজপেয়ির পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ভবনের খোলা প্রাঙ্গণে শপথ নিচ্ছেন মোদি। সাধারণত বারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলেই শপথ নিয়ে থাকেন। তবে সেখানে মাত্র ৫শ অতিথির বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস দলের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী এবং তার পুত্র এবং দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধ। এছাড়া অন্যান্য দলের নেতা এবঙ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তো থাকছেনই। তবে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মোদির শপথে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
রোববার রাতে নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে একটি সরকারি বিবৃতি নতুন মন্ত্রিসভার আকার অত্যন্ত ছোট হবে বলে জানানো হয়েছে ।এজন্য মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো এবং প্রয়োজনে কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে একত্র করে একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা হবে । বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে ছোট সরকার, কিন্তু সুশাসন নিশ্চিতে বেশি জোর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
মন্ত্রীসভার সদস্যরাও সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শপথ নেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত ১৬ই মে নির্বাচনের ফল আসার পর থেকে গত দশদিনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের চূড়ান্ত করতে মোদি দলের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।