ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেলায় তওবা প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, বৃহত্তর একটি বিরোধী দলের কথা না শুনে তিনি একটি দেশের সমর্থনে দেশ চালাচ্ছেন। তাই তওবা উনার জন্যই প্রযোজ্য।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই মুখপাত্র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উনার (শেখ হাসিনা) বাবা একজন আর্দশবান রাজনীতিক। আমরা উনাকে অনেক সম্মান করি। প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেন, তা তিনি কোথায় থেকে শিখেছেন আমরা জানি না। উনি দেশের বাইরের ৬ বছর ছিলেন। সেখানকার কোনো স্কুল থেকে এমন আচরণ শিখছেন তা-ও আমরা জানি না।

রিজভী বলেন, ভোটার শূন্য নির্বাচনের তথাকথিত বিজয়ের গর্বে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সরকার উন্মাদ হয়ে পড়েছে। আর যাতে ক্ষমতা হারাতে না হয় সেই আতঙ্কে এখন তারা কম্পোজিট সন্ত্রাসের কাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য ১৯ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন-গুম করা হচ্ছে।

অঘোষিত কারফিউ দিয়ে সরকার বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, সরকারের অনাচার ও অপকীর্তির সমালোচকদের উপেক্ষা করে চরম ঝুঁকির মধ্য দিয়ে দেশ চালাচ্ছে।

বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সাংবিধানিকভাবে প্রধান দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ইসি তার বির্তকিত ও আজ্ঞাবাহী ভূমিকার কারণে জনগণের নিকট ন্যূনতম আস্থার জায়গাটি হারিয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অবৈধ সরকারের টাইপিস্টের ভূমিকা পালন করছে। নির্বাহী বিভাগ থেকে যে হুকুমনামা জারি করা হয়, কমিশন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।

রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারি দল সমর্থক প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ এবং তাদের সন্ত্রাসীদের দৌরাত্মের বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ করলেও তা অরন্যে রোদন হয়ে দাঁড়ায়, কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন না করে নির্বাচনের ফলাফল ছিনতাই করতে চায় সরকার। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কেরানীগঞ্জে ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ওপর কয়েক দফা হামলা চালানো হয়েছে।

‘এই বিষয়ে প্রশাসনকে  জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই- কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দায়ী থাকবে’ যোগ করেন তিনি।

এ সময় সাবেক এই মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা-বার্তায় উনি লজ্জা না পেলেও, জনগণ লজ্জা পায়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদ, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিব উল্লাহ হাবিব, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন,  নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, যুবদলের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি আবদুস সালাম আযাদ ও নাজিম উদ্দিন মাস্টার প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here