আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত তিন দিনের যুদ্ধ বিরতির প্রথম দিনে শুক্রবার অবরুদ্ধ হোমস থেকে ৮৩ জন বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত এ চুক্তিতে শহরটিতে থেকে যাওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করতে দিতেও সরকার ও বিরোধী পক্ষ সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, যুদ্ধবন্ধে রাজি হওয়ার পর শুক্রবার বিদ্রোহীদের দখলকৃত পুরানো শহরটিতে বাস প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। প্রথম বাসটিতে ১২ জন বয়স্ক পুরুষ ও নারী ছিল। শহর থেকে বেরিয়ে আসা এসব ক্ষুধার্ত মানুষদেরকে খাবার ও পানি দেয়া হয়েছে। এচাড়া তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান বিবিসি প্রতিনিধি আসাফ আবাউদ।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের প্রতিনিধি ফারহান হক বলেন, হোমসে আটকে পড়া নারী, শিশু ও বয়স্কদের বেরিয়ে আসার সুযোগ দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এবং রেডক্রস কর্মচারীদের প্রহরায় তাদেরকে তাদের পছন্দনীয় গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। ধারণা করা হচ্ছে, শহরটিতে সবমিলেয়ে তিন হাজারের বেশি লোক আটকা পড়ে আছে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বা ফাও মুখপাত্র এলিজাবেথ বাইরস রয়টারকে বলেন, হোমস ছেড়ে যারা চলে আসছে তাদের অধিকাংশই অপুষ্ঠিতে ভুগছে।তিনি আরো বলেন,‘এতদিন ধরে তারা গাছের পাতা, ঘাস আর জলপাই খেয়ে দিন কাটিয়েছে।’ হোমস থেকে বেরিয়ে আসা মানুষজন সাংবাদিকদের বলেন, শহরটিতে বহু লোক আটকা পড়ে আছে এবং তারাও শহর ছেড়ে আসতে চান।
এদিকে চুক্তি অনুযায়ী শনিবার হোমসে আটকা পড়াদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করার বিষয়ে সিরিয়া সরকার এবং জাতিসংঘের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার হোমসে আটকেপড়াদের সরিয়ে আনার কার্যক্রম তদারক করছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সমন্বয়কারী ইয়াকুব এল হিল্লো। তিনি বিবিসিকে বলেন,‘ জাতিসংঘ টিম খাদ্য ও পানীয় নিয়ে শহরটির বাইরে অপেক্ষা করছে। শনিবার সকালে প্রথম বেসামরিক দলটি শহর ছেড়ে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ওরা তাদেরেকে খাদ্য সরবরাহ করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।