রোববার সকালে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনে করে যাত্রা করেন। মন্ত্রী হওয়ার পর এটিই ছিল তার প্রথম ট্রেন ভ্রমণ। ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০ টায়  আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌছার কথা থাকলেও পৌছে সকাল১০ টা ৫৪মিনিটে।

পথে বিলম্ব হয় প্রায় ২৪ মিনিট। মন্ত্রীর ট্রেন ভ্রমণকে কেন্দ্র করে রেল কর্তৃপক্ষ বাতিল করে ঢাকাগামী তিতাস কমিউনিটি এক্সপ্রেস। এতে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হয়। এমনকি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে আখাউড়া রেলস্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রা বিরতি দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে ২ ঘন্টা বিলম্বে ছাড়ে নোয়াখালীগামী আনতঃনগর উপকুল এক্সপ্রেস।রেলমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে আলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঘটা করে বলেছিলেন, প্রথমেই তিনি ভেঙ্গেপড়া ট্রেনের সময়সূচী ঠিক করবেন।

আখাউড়া রেলওয়ে কেবিন মাষ্টার জানান, সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখানে ইন করে। ছাড়ে ১০ টা ৫৭ মিনিটে। আখাউড়ার জন্য ৩ মিনিট যাত্রা বিরতি রয়েছে। মহানগর প্রভাতীকে ক্রসিং দিতে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দাড় করানো হয়। উপকুল ঢাকা থেকেই দুই ঘন্টা বিলম্বে ছাড়ে।  এ দিকে মন্ত্রীকে বহনকারী ট্রেনটি আখাউড়া রেলস্টেনে যাত্রাবিরতি দিলে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে স্থানীয় আলীগ নেতাকর্মীরা ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও রাতের ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানিয়ে একটি স্মরকলিপি দেয়। এসময় মন্ত্রী সম্পূর্ণ না হলেও আংশিক প্রতিশ্রুতি বাসতবায়ন করবেন বলে কথা দেয়।

এদিকে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেল স্টেশনের আউটারে পৌছলে যাত্রা বিরতির দাবীতে ট্রেন লাইন অবরোধ করে  স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় ট্রেণটি আরো ২৫ মিনিট কসবা স্টেশনে আটকে পড়ে যায়।

এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। আন্তঃনগর ট্রেণ যাত্রা বিরতির দাবীতে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয় মন্ত্রীকে। ট্রেণ থামানোর ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

এ সময় স্থানীয় লোকজনদের উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একটি সংক্ষিপ্ত ভাষনে বলেন, ট্রেণ থামিয়ে দাবী দাওয়ার কথা না বলে সরাসরি আমার কাছে বললেই পারতেন। ট্রেণের যাত্রীরা টাকা দিয়ে টিকেট কেটে উঠেছে। তাদের সময় অপচয় করা হলো। তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনদের দাবীর বিষয়টি এ এলাকার সাংসদ মোহাম্মদ শাহআলমের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার সকাল থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে  কসবা রেল স্টেশনে অবস্থান নেয়। মঞ্চে ভাষন দিতে থাকেন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কয়েক হাজার লোকজন এ অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেয়।

লাল নিশান নিয়ে ট্রেন লাইনে দাড়িঁয়ে যায় শত শত লোকজন। বন্ধ করে দেয় ট্রেণের সবুজ সংকেত। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর ট্রেনটি ১১টা ১৫ মিটিনের সময় কসবা রেল স্টেশনের আউটারে আটকে যায়। পরে স্টেশন থেকে লোকজন সবুজ নিশানা নিয়ে সংকেত দিয়ে ট্রেণটি কসবা রেল স্টেশনে নিয়ে আসে। পরে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংক্ষিপ্ত ভাষনের পর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ট্রেণটি ছেড়ে যায়।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ডট কম/লিটন চৌধুরী/ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here