নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, “প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের জরিপকারীদের কোনো ধারণাই নেই, কীভাবে জরিপ চালাতে হয়। অথবা তারা পরিকল্পিতভাবেই জরিপের ফলাফল ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছে। কেননা তারা বারবারই নির্বাচন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
এ ধরনের জরিপগুলো জনমনে প্রভাব ফেলে, যার প্রভাব সরাসরি নির্বাচন ও অবশ্যই গণতন্ত্রের ওপরও পড়ে। কাজেই এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কিছু পশ্চিমা দূতাবাস ও কয়েকটি গণমাধ্যমের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন জয়। এ সময় তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার ভদ্রতা দেখানোরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে ইউএসএইড ও ডিএফআইডির অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) পরিচালিত নির্বাচন-পরবর্তী জরিপ তুলে ধরে এ সমালোচনা করেন।জয় তার স্ট্যাটাসে আরো বলেন, “কিছু পশ্চিমা দূতাবাস ও কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করেছে, ভোটার উপস্থিতি সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ বড়জোর ৩০ শতাংশ। কোনো রকম গণনা ছাড়াই গুজব ও অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তারা এ দাবি করেছে।”
জয় বলেন, “এমনকি আরো দৃষ্টিকটুভাবে কোনো প্রমাণ ছাড়াই এই মহলগুলোর কেউ কেউ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশন ভোটার উপস্থিতি বাড়িয়ে দেখিয়েছে, আওয়ামী লীগ কর্মীরা জাল ভোট দিয়েছেন। যেসব পশ্চিমা কূটনীতিক ও গণমাধ্যম এই মিথ্যা অভিযোগগুলো তুলেছেন, তাদের উচিত নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ ও দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
ভুল ও অসত্য বক্তব্যগুলো তারা খুব দ্রুততার সঙ্গেই দিয়েছিলেন। কাজেই আগের সেই বক্তব্যগুলো যে ভুল ছিল, তা স্বীকার করে নেওয়ার ভদ্রতাটুকু অন্তত তাদের থাকা উচিত। অন্যথায় এটাই প্রমাণ হবে, তারা পরিকল্পিতভাবেই আমাদের নির্বাচনকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছিলেন।”
নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের চালানো জরিপে মারাত্মক ভুল ছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী-তনয়। তিনি লিখেছেন, “বিশেষ করে বাংলাদেশের দুইটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের জরিপের কথা উল্লেখ করতে চাই। দুইটি পত্রিকার জরিপেই দেখা গেছে, বিএনপি ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ ভোট পাবে, আওয়ামী লীগ পাবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।
জরিপগুলো যে কেবল সামান্য ত্রুটিযুক্ত ছিল তা বলা যাবে না, এগুলো ছিল মারাত্মক ধরনের ভুল।”