কলকাতা প্রতিনিধি :: পশ্চিমবঙ্গ ছোটোপত্রিকা সমন্বয় সমিতির উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও ২০১৮ সাল ১৪২৫ বঙ্গাব্দ-এর শারদ সংখ্যা এবং উৎসব সংখ্যার ছোটোপত্রিকার প্রতিযোগিতায় ২০১ টি পত্রিকা অংশ গ্রহণ করে। বিচারকমণ্ডলীর সুচিন্তিত অভিমত অনুযায়ী ওই প্রতিযোগিতায় উদার আকাশ ঈদ উৎসব ও মহিষাসুর স্মরণ সংখ্যা ১৪২৫ মেধাক্রমে প্রথম স্থান অধিকার করে।
এজন্য উদার আকাশ সম্পাদক এবং পত্রিকার কুশীলবদের অজস্র শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে রবিবার (১১ আগস্ট) বিকালে কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল হল সভাঘরে সম্পাদক ফারুক আহমেদ-এর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ ছোটোপত্রিকা সমন্বয় সমিতির কর্মকর্তাদের মধ্যে কবি রামলাল মুখোপাধ্যায় ও কবি আশিস সান্যাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ছোট পত্রিকা সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমল কর, সভাপতি রমেশ পুরকায়স্থ, বিশিষ্ট কবি পার্থ রাহা, কবি অলক বন্দোপাধ্যায় সহ বহু কবি ও সাহিত্যিক।
উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ এবং সহ সম্পাদক মৌসুমী বিশ্বাস ও রাইসা নুর উপস্থিত ছিলেন। সকল উদার আকাশ পত্রিকার লেখক, কবি সাহিত্যক ও ছড়াকারদেরকে অফুরন্ত ধন্যবাদ ও কুর্নিশ জানিয়ে আগামীতে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ ও মৌসুমী বিশ্বাস।
ভারতে এই প্রথম কোনও সম্পাদক “ঈদ উৎসব ও মহিষাসুর স্মরণ সংখ্যা ১৪২৫” প্রকাশ করে নয়া ইতিহাসের সূচনা করলেন।
উদার আকাশ কেবল পত্রিকা নয়, আত্মমর্যাদার অভিজ্ঞন।
উদার আকাশ কেবল স্লোগান নয়, সুস্থ সমাজ গড়ার অঙ্গীকার।
উদার আকাশ দিচ্ছে ডাক, ঘরে ঘরে সাহিত্য-চেতনা পৌঁছে যাক।
এই আহ্বান জানিয়েছে উদার আকাশ পত্রিকা বিগত ১৮ বছর ধরে বহু লেখকদের আত্মপ্রকাশ করতে সাহায্য করেছে। উদার আকাশ ভাব ও ভাষা সমৃদ্ধ প্রগতিশীল সাহিত্য বিষয়ক গবেষণাধর্মী পত্রিকা। আগামী জানুয়ারিতে ১৯ বছরে পড়বে উদার আকাশ পত্রিকাটি।
এবার একটা অন্যরকম বিশেষ সংখ্যা নিয়ে পাঠকদরবারে হাজির হয়েছিল উদার আকাশ।
ভারতে এই প্রথম কোনও সম্পাদক “ঈদ উৎসব ও মহিষাসুর স্মরণ সংখ্যা ১৪২৫” প্রকাশ করলেন এবং আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সমালোচনা ও আলোচনার ঝড় তুলল উদার আকাশ পত্রিকার এই বিশেষ সংখ্যাটি।
“উদার আকাশ” পত্রিকার বিশেষ “ঈদ উৎসব ও মহিষাসুর স্মরণ সংখ্যা ১৪২৫” প্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৩ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার সন্ধ্যা ৫ টায়, কলকাতা প্রেস ক্লাবে।
উদার আকাশ বিশেষ সংখ্যাটি প্রকাশ করেছিলেন বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার ‘সাহিত্য অকাদেমির বাংলা উপদেষ্ঠামন্ডলীর আহ্বায়ক’ ও রাজ্য ‘কবিতা আকাদেমি’র চেয়ারম্যান, রাজ্যসভার সাংসদ ও ‘পুবের কলম’ পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ হাসান ইমরান, শিক্ষাবিদ আমজাদ হোসেন, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার মোহঃ নিজাম শামীম, পীরজাদা খোবায়েব আমিন, আজাদ মহলদার, কঙ্কন কুমার গুঁড়ি, সমীর কুমার দাস, হরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ নাবিলা খান, সাবির আহমেদ, স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী পলাশ চৌধুরী, মধুশ্রী হাতিয়াল ও হুমায়ুন কবীর। ওই দিন প্রত্যেক অতিথিকেই উদার আকাশ পত্রিকার পক্ষ থেকে “উদার আকাশ স্মারক সম্মাননা” প্রদান করা হয় এদিন।
উদার আকাশ পত্রিকার সমস্ত লেখকদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সমবেতভাবে প্রকাশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং অভিনবত্বের ছাপ রাখে।
কবিতা পড়েছিলেন কবি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন কবি অয়ন চৌধুরী, মিজানুর রহমান রোহিত, ফিরোজ হোসেন ও তাজিমুর রহমান, আবৃত্তি শিল্পী ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায় সহ প্রত্যেককেই উদার আকাশ পত্রিকার পক্ষ থেকে “উদার আকাশ স্মারক সম্মাননা” প্রদান করা হয়েছিল।
বহু বিশিষ্ট মানুষের উপস্থিতিতে “উদার আকাশ” পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামমের স্মরণে গজল পরিবেশন করেছিলেন সঙ্গীত শিল্পী পলাশ চৌধুরী।
বিশ্বে শান্তি ফেরাতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বিশিষ্ট অতিথিরা।
“উদার আকাশ” পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও সহ সম্পাদক মৌসুমী বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, এই বিশেষ সংখ্যায় কলম ধরেছিলেন ভারত-বাংলাদেশের বহু লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের একটা বড় অংশ।
গল্প, অণুগল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, নাটক নিয়ে বিশেষ আলোকপাত, ভাষার উপর বিশেষ প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা সহ নানান ধরনের লেখা প্রকাশ করা হয়েছিল ওই সংখ্যায়।
সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে সারফুদ্দিন আহমেদ-এর অনবদ্য প্রচ্ছদ যা সকল মানুষকে মুগ্ধ করেছিল।
হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে লিখেছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও কবি তরুণ মুখোপাধ্যায়।
মহিষাসুরকে নিয়ে লিখেছিলেন প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক গৌতম রায়।
বহু গুরুত্বপূর্ণ লেখার সম্ভারে সমৃদ্ধ হয়েছিল উদার আকাশ।
গৌতম রায় যে প্রবন্ধ লিখেছিলেন তা নিয়ে সাহিত্যানুরাগীদের মনে একটা ঝড় তুলেছিল।