পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ফোন কল পেয়ে অবাক হয়েছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার হতদরিদ্র পরিবার থেকে মেডিকেলেচান্স পাওয়া রায়হানুল বারী রাসেল। ফোনে প্রতিমন্ত্রী রায়হানুল বারী রাসেল ও তার বাবা সাফিউল ইসলামের সঙ্গে প্রায় ৫ মিনিট কথা বলেছেন।পরীক্ষার ফলাফল, ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় ও রাসেলের পরিবারের খোঁজখবরও নেন। এ নিয়ে রাসেলের পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা বইছে।
রাসেল বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্যার আমাকে ফোন করবেন। স্যারের ফোন পেয়ে আমি গর্বিত। আমার পড়াশুনার ব্যাপারেতিনি আশ্বস্ত করেছেন। স্যার ঢাকায় গিয়ে আমাকে যোগাযোগ করতে বলেছেন।’
রাসেলের বাবা সাফিউল ইসলাম জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্যার আমাদের দরিদ্র মানুষের খোঁজ নেবেন ভাবতে পারিনি, আমরা খুব আনন্দিত।
গত ১১ অক্টোবর দেশের এক অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশ হয় রাসেলের খবর। ওই খবরে প্রকাশ পায় রাসেল সুদে টাকা নিয়ে পরীক্ষায় অংশ করেমেডিকেলে চান্স পেয়েছে। সংবাদটি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সুনজরে আসে।
এরপর তিনি রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর চেয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। এর ৩৭ মিনিট পর তিনি নম্বর পাওয়া গেছে জানিয়ে আপডেটে আবারো একটি স্ট্যাটাস দেন। তার প্রেক্ষিতেই আজ রাসেলকে ফোন করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, অভাব-অনটনের মাঝেও পড়াশুনা চালিয়ে একের পর এক সফলতা অর্জন করেছেন মেধাবী ছাত্র রায়হানুল বারী রাসেল। এবার তিনি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মেধা তালিকায় ৫১৪তম স্থান দখল করেছেন রাসেল।
এদিকে অদম্য মেধাবী রাসেল মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় তার পড়াশুনার জন্য তাকে অনেকেই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।