আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বায়িত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শনিবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি সদর স্বনির্ভর বাজারে ইউপিডিএফ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবী জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দরা, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল,সংবিধানে স্ব স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতি,ভূমি বেদখল,ধরপাকড়, হয়রানি, লুটপাট, নারী নির্যাতন, খুন-গুম-অপহরণ বন্ধ কর এবং ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার দাবী জানানো হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ,গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি পলাশ চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি শাখার সংগঠক অংগ্য মারমা, পিসিপি খাগড়াছড়ি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি সহ সাধারণ সম্পাদক অবনিকা চাকমা প্রমূখ।
সমাবেশে অংগ্য মারমা অভিযোগ করে বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে কৃত্রিম ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মাধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন হওয়ার পর ৭২ সালে সংবিধানে শেখ মুজিবুর সরকার এই দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংখ্যা লঘু জাতিসত্তামূহের বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। তীব্র প্রতিবাদে মূখে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
২০১১ সালে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীতে এসে ফ্যাসিস্ট আওয়ামি লীগ সরকার শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের মতকে উপেক্ষা করে তা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা ৪৭ বছর পরও দেশে পাকিস্তানপন’ী থেকে গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ন্যায় নিপীড়ন-নির্যাতন করছে, হত্যা,গুম,খুন-অপহরণের মত ঘটনা থামছেনা। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের অস্তিত্ব ধ্বংস করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও খাগড়াছড়িতে নব্য মুখোশ গঠন করে ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমাসহ ১৫ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের হত্যা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী’ আইন বাতিল, যৌথ বাহিনী অভিযানের নামে ধরপাকড়-নির্যাতন-খুন-গুম-অপহরণ বন্ধ,রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ইউপিডিএফ-এর সভাপতিসহ দলে নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধি-হেডম্যান কার্বারীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং খাগড়াছড়ি ত্রিপুরা কিশোরী-বিলাইছড়ি ও লামায় মারমা তরুনী ধর্ষকদের সাজার দাবি জানান।