আলমগরি মানিক, রাঙামাটি

পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ ও ঐক্য-সংহতি কামনায় শুক্রবার তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের বিভিন্ন বিহার, মন্দির ও গীর্জায় একযোগে গণ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণপ্রার্থনা সভায় এলাকার জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারী, ইউপিডিএফ ও জেএসএস-এর কর্মী-সমর্থক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকার সর্বস-রের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। গণপ্রার্থনা ছাড়াও সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধ পূজা, সহস্র প্রদীপ প্রজ্জ্বলনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  রাঙামাটি জেলায় মোট ৪৭টি বিহার, মন্দির ও গীর্জায় এ গণপ্রার্থণা অনুষ্টিত হয়। জনপ্রতিনিধি পরিষদের উদ্যোগে স্ব স্ব মন্দিরে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

গণপ্রার্থনা অনুষ্ঠানে অচিরেই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করে জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ইউপিডিএফ চুক্তি বাস-বায়নের আন্দোলনে সহযোগিতা দিতে প্রস’ত বলে ঘোষণা দিয়েছে, তাই বল এখন জেএসএস’র সন’ গ্রুপের কোর্টে। জেএসএস (সন’ লারমা) গণ আকাঙ্খার সাথে একাত্ম হয়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে শানি- ফিরে আসবে।

গণপ্রার্থনা অনুষ্ঠানে ইউপিডিএফের সমন্বয়ক সমশানি- চাকমা বলেন, ভ্রাতিৃঘাতি সংঘাত বন্ধের দাবীকে আমরা স্বাগত জানাই। জেএসএসকে আহব্বান জানাই তারা যেন আমাদের দলের অনুসারী হয়ে জনগনের দাবীকে অগ্রদাবী মনে করে লড়াই সংগ্রাম করে।
অন্যদিকে ভ্রতৃঘাতি সংঘাত বন্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে জন সংহতি সমিতি জেএসএস (সন’) সমর্থিত নেতা বড়রিষি চাকমা বলেন, ধর্ম অহিংসা পরম ধর্ম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইউপিডিএফের যে সমস- অস্ত্রগুলো রয়েছে সেগুলো কি করবে। যদি তাদের অস্ত্রগুলো সরকারের হাতে জমা দেয় তাহলে ভ্রাতিৃঘাতি সংঘাত বন্ধ হবে বলে আমাদের দল মনে করে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here