কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি:: পাবনার সুজানগর উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় দুই মাস পর এক কলেজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রবিউল ইসলাম (২৫) সুজানগর উপজেলার উলাট গ্রামের আব্দুল মালেক শেখের ছেলে। সে সুজানগরের মালিফা-সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
সুজানগর থানার অফিসার ইনর্চাস ওবাইদুল হক জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় রবিউল ইসলাম। পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। এরপর মোবাইল থেকে ফোন করে ও ম্যাসেজ দিয়ে রবিউলের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পেলে রবিউলকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
৫ অক্টোবর নিখোঁজ রবিউলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে হৃদয় নামের এক যুবকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করে সুজানগর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার পর বিভিন্ন সময় পুলিশ হৃদয়,শহিন, মমিন মিঠু নামের চারজনকে গ্রেফতার করে। সর্বশে বৃহস্পতিবার নিখোঁজ রবিউলের প্রতিবেশী রাজ্জাক শেখের ছেলে মামুনকে আটক করে।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে শুক্রবার সকালে মামুনের শোবার ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাথমিক তদন্তে হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মুলত প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে কলেজ ছাত্র রবিউল ও তার প্রতিবেশি মামুনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জেরে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে ও পরে শ্বাসরোধে রবিউলকে হত্যা করে মামুন। এরপর ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে লাশ চাপা দিয়ে রাখে।